লক্ষীপুরে আদালতে মামলা চলা অবস্থায় দোকানঘর উচ্ছেদের অভিযোগ

লক্ষীপুরে আদালতে মামলা চলা অবস্থায় দোকানঘর উচ্ছেদের অভিযোগ

লক্ষীপুরে আদালতে মামলা চলা অবস্থায় দোকান-ঘর উচ্ছেদের হুমকি ও উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে করে ভূমির মালিক রুপিয়া খাতুন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এঘটনায় রুপিয়া খাতুন বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

যাহার মামলা নং ৮৯/২০২০ইং। আদালত মামলা করার পরও উক্ত দোকানঘর উচ্ছেদ করে দেয় লক্ষীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি। এতে করে প্রায় ২০লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন জমির মালিক রুপিয়া খাতুন।

ঘটনাটি ঘটে,লক্ষীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের দালাল বাজার মসজিদ রোড়ের পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এবং বাজারের রাস্তার পশ্চিম পাশে রুপিয়া খাতুনের মার্কেট এলাকায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রুপিয়া খাতুন পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ৬৪ নং মৌজার সি এস ৫৬৬,এস এ ৫৪১ খতিয়ান ভূক্ত ২৯৬২দাগে ৩ শতাংশ জমিতে দোকানপাট নির্মাণ করে দীর্ঘ ৭৪ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। এদিকে বাদীর মেয়ের জামাতা ও দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া আব্দুল মতিন জমির কাগজপত্র দেখাতে চাইলে বলেন কাগজপত্র দেখাতে হলে আদালতকে দেখান।

তিনি আরও বলেন, গত আট দশ বছর যাবত রুপিয়া বেগম থেকে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছি। এ জমির মালিক আমার শাশুরী রুপিয়া খাতুনকে আমি প্রতি মাসে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি। রুপিয়া খাতুন এ জমির প্রকৃত মালিক।

ভোগদখল কারী রুপিয়া খাতুন আরো জানায়,আমার বাবা মজিবল হক দালাল বজার জমিদার বাড়িতে কাজ করতেন। আমার বাবার কোন জায়গা সম্পত্তি ছিলোনা। আমরা অন্যর জমিতে থাকতাম।

জমিদার সত্যন্দ্র কুমার গংরা খুশি হয়ে আমার বাবাকে ৩শতক জমি মৌখিকভাবে প্রজাবিলি দেন। আমার বাবার নামে এসএ খতিয়ান এ রের্কড়ও রয়েছে। তিনি ৩শতক সম্পত্তি প্রজাবিলি সুত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখল করে করেন এবং তিনি নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করেন।

আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় ওই ৩ শতক জমি থেকে আমাকে ১ শতক জমি মৌখিক ভাবে দান করে দেন। বাকি ২শতক জমি আমার এক ভাইও দুই বোন কে দান করে দেন। বাবা মৃত্যুও পর থেকে আমি নিয়মিত উক্ত জমির খাজনা পরিশোধ করেছি। এই দোকান ঘরের ভাড়া দিয়েই আমার সংসার চলে।

টাকার অভাবে পাশে আরো ৪টি দোকানঘর র্নিমাণ করতে পারেনি। কিন্তু ভূলবশত আমার ভোগদখলীয় ১শতক জমি সরকারের নামে রের্কড হয়। আমি সরকারি আইন অনুযায়ী ল্যান্ড র্সাভে ট্রাইব্যুনালে খতিয়ান সংশোধনের জন্য এলএসটি মামলা দায়ের করি।

যাহার মামলা নং ১৪৯/২০২০ইং। শুক্রবার সদর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ১৬ই জুলাই সরোজমিনে গিয়ে মৌখিক ভাবে উচ্ছেদ করার জন্য আদেশ দেন।

লক্ষীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানায়, বিষটি যেহেতু জমি জমা সংক্রান্ত তাই নথি পত্র দেখা ছাড়া কিছু বলা যাবে না। আদালতে মামলা থাকলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×