প্রকাশিত: 15/09/2020
স্পেইনে গাঁজা পাচারকারীরা সাগরেই ধৃত।
স্প্যানীয় সিভিল গার্ড, ‘ গার্ডিয়া সিভিল’- ‘ইউরোপল’ সহযোগে অভিযান।
স্পিডবোটে মাস প্রতি ছয় টন পর্যন্ত গাঁজা চোরাকারবার; ভিত্তিহীন প্রতিষ্ঠান অবৈধ মুনাফাকে আবাসন ব্যবসায় হয়ে বৈধ মুন্দ্রায় মিলিয়ে দিত।
‘গার্ডিয়া সিভিল’- স্পেনের সিভিল গার্ড, ‘ইউরোপল’ সমর্থনযোগে মাদক-দ্রব্য চোরাকারবার ও কালো টাকা সাদাকরনে নিবৃত একটি সংগঠিত অপরাধ চক্র-কে ধরাশায়ী করেছে বলে গতকাল ১৩ই সেপ্টেম্বর প্রকাশ করেছে। ইরোপল এতে তথ্য বিনিময়যোগে ও বিশ্লেষণ মূলক সমর্থনের সংযুক্তি ব্যবহার করে।
মাদকদ্রব্য গুলি জলজ স্পিডবোটে ধামা-চাপা দেওয়া ছিলো ও অপরাধীদের মালিকানাধীন ‘ নারকো জেটি’ নামে একটি ছোট্ট নৌঘাটে পরিবহন করা হয়েছিল। চোরাকারবারীরা এ সকল চোরাকারবার হতে হাতানো অবৈধ কালো টাকা কিছু ‘স্ট্র-ম্যান’ পরিচালিত দৃশ্যতঃ কিছু প্রতিষ্ঠান যোগসাজেষে আবাসন খাতে বিনিয়োগ দ্বারা বৈধমুন্দ্রায় মিলিয়ে দিত। মাদক দ্রব্যাদী পরিবহনে, অতঃপর ঐ সকল দৃশ্যতঃ প্রতিষ্ঠান সমূহ জলজ স্পিডবোটের ‘নৌ- যন্ত্রপাতি’ ক্রয় করত।
প্রকৃত এ্যাকশান ডে ছিলো ৭ই জুলাই ২০২০, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাগন ৮টি স্থান অতর্কিত হানা দিয়ে ৭৫ জন কে ধৃত করে, ৮০০০ কে জি গাঁজা, ৬টি নৌ-যান (৪টি জলজ দ্রুত গতি হাই স্পিডবোট, ২টি অর্ধ-গতির বৈরি জলজ বোট, ১৬ টি স্থল যানবাহন, কিছু ব্যাংক হিসাব এবং ৩ মিলিয়নের ইউরোর ও অধিক মূল্যমানের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করে। অপরাধী-রা মরক্কো থেকে আলজেরীয় এ্যালজেসীরাস- এর স্প্যানীয় অন্ঞ্চল এবং ‘ ক্যাম্প ডি গীবরাল্টার’ -এ গাঁজা চোরা চালান করে।
‘দি ক্লান ডি লস পিন্চশ’ -এর বেশ কিছু প্রধান সন্দেহ ভাজন রয়েছে। সন্দেহ ভাজনেরা খুব শক্তিশালী এবং স্প্যানীশ, যা তাঁদের অপরাধ কার্যকলাপ নিশ্চিত ও অনউন্মোচীত রাখে। অপরাধ গোষ্ঠীটির সাথে সম্পৃক্ত আরও অনেক অপরাধীরাও বিভিন্ন চালানে নিয়োজিত। হাসিস চোরাচালানের এই দুর্ধর্ষ চক্রটি গিবরাল্টার অন্চলে সক্রিয় এবং অন্য অপরাধী দের প্রতি মাসে তিন থেকে ছয় টনের গাঁজা চালান করতে সক্ষম।
এ্যাকশান ডে- টি তে ইউরোপল ‘ক্যাডিজ’ নামক প্রাচীন নগরটিতে তিন জন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছিলো ইউরোপলের তথ্যভান্ডার, তারবার্তায় আঁড়িপাতার সামর্থ্য এবং প্রদত্ত প্রযুক্তিয় সমর্থন বাস্তবিক অভিযান সময়কার তথ্য-উপাত্তের সাথে খতিয়ে দেখতে।
২০১০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মারাত্নক আন্তর্জাতিক ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বৃহত্তর নিরবচ্ছিন্নতা নিশ্চিতকল্পে একটি চর্তুবার্ষীক পরিকল্পনা চক্র স্থাপন করে। ২০১৭ সালে ই ইউ কাউন্সিল, ই ইউ পরিকল্পনা চক্র টিকে ২০১৮-২০২১ পরিক্রমায়ও চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এটি ই ইই -এর প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হুমকি অর্পনকারী সংগঠিত ও মারাত্মক আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহকে প্রতিহত করবার প্রত্যয় রাখে। এ উদ্দেশ্য ই ইউ সদস্য রাষ্ট্র সমূহ, প্রতিষ্ঠান এবং অঙ্গসংগগঠন সমূহ এমনকি ই ইউ ভুক্ত নয় এমন রাষ্ট্র সমূহ ও প্রতিষ্ঠান সমূহ ও যেখানে প্রয়োজন বেসরকারী খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করে, তাঁদের সাথে সহযোগিতার শক্তি বৃদ্ধি ও উন্নয়ন ঘটিয়ে অর্জন করা হয়। কালো টাকা সাদাকরন ও মাদকদ্রব্য চোরা চালান এই পরিকল্পনা চক্রের অন্যতম দুটি প্রাধান্য।