প্রকাশিত: 19/09/2020
ভারতের আপত্তির মুখে সংবিধান সংশোধন করে উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লিপুলেখ গিরিপথ এবং লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রে সংযোজিত করেছে নেপাল। এরপরে সেই নতুন মানচিত্র সম্বলিত পাঠ্যবই প্রকাশ করেছে নেপালের শিক্ষা অধিদপ্তর।
দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গিরিরাজ মনি পোখারেল জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়ে নতুন মানচিত্র সংযোজন হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নিজেই ভূমিকা লিখেছেন। আর সেখানে কালাপানিসহ বিতর্কিত এলাকাগুলো নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
নতুন বইয়ে নেপালের মোট ভূখণ্ড উল্লেখ করা হয় ১,৪৭,৬৪১.২৮ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে শুধু কালাপানি এলাকা ধরা হয়েছে ৪৬০ বর্গ কিলোমিটার।
সরকারি একটি সূত্রের খবর, নতুন মানচিত্র সংযোজিত করে নতুন ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েনও তৈরি করা হচ্ছে। দশেরার দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সেই কয়েন নেপালের বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির অলি সরকারের। নয়া মানচিত্রসহ নতুন কয়েনে নেপালের মন্ত্রিসভা আগেই অনুমোদন দিয়েছে।
এর মধ্যে আরও দুটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করতে শুরু করেছে কাঠমান্ডু। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নেপালের ভূখণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে, গত জুনে উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে সংসদের উচ্চকক্ষে নতুন মানচিত্র বিল পাশ করানো হয়।
জানা গেছে, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনিফায়েড নেপাল ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গ্রেটার নেপাল প্রচার শুরু করেছে। সেই প্রচারের অঙ্গ হিসেবে ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির আগে নেপালের ম্যাপকেই সামনে আনা হচ্ছে।
ওই মানচিত্রে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকি সিকিমের একটা অংশকেও নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারও চলছে।
চলতি বছরের ৮ মে লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস মানস সরোবর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এর পরেই ভারত এবং নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। তার পরেই তড়িঘড়ি করে তিন ভারতীয় ভূখণ্ডকে জুড়ে নতুন মানচিত্র সামনে আনে অলি সরকার।