প্রকাশিত: 20/09/2020
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রতিশোধ ছিল না।
আমরা কোনো মার্কিন সেনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সেখানে হামলা চালায়নি। আমরা শুধু আমেরিকাকে এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমরা যা বলি তাই করি এবং তা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
গত রাতে ইরানের টিভি চ্যানেলে লাইভ সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জেনারেল সোলাইমানির পর্যায়ের কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা তার পর্যায়ের কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। কয়েকজন মার্কিন সেনা বা জেনারেলকে হত্যা করে এর প্রতিশোধ হবে না।
জেনারেল সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার কাজ তখনি সম্পন্ন হবে যখন তার লক্ষ্য-আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। জেনারেল সোলাইমানি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যকামী ব্যবস্থার পতন চেয়েছিলেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যকামী ব্যবস্থার পতন ঘটিয়েই সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
জেনারেল সালামি বলেন, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দিন আমরা বড় ধরণের যুদ্ধের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা এটা ধরে নিয়েছিলাম যে আমেরিকা পাল্টা আঘাত হানবে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিল যে তারা ইরানের ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালাবে। আমরা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি ইরান ভয় পায় না।
তিনি বলেন, ইরান ৪০ বছর ধরে বড় ধরণের যুদ্ধে বিজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে আমেরিকা বর্তমানে কোনো যুদ্ধে জড়ানোর অবস্থায় নেই। সালামি আরও বলেন, যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকলেও ইরান কখনোই যুদ্ধ চায় না। কিন্তু যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার জন্য ইরান সব সময় প্রস্তুত থাকে।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে দেশটি সফরে গেলে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের তৎকালীন কমান্ডার জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা। হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় হাশদ আশ-শা’বি বাহিনীর উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ দু’দেশের আরও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন।
এরপর ইরান ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, এতে বহু মার্কিন সেনা আহত হয়েছে বলে ওয়াশিংটন স্বীকার করেছে। সূত্র: পার্সুটডে