প্রকাশিত: 22/09/2020
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারী) ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলামের প্রতারণার স্বীকার হয়ে হাফিজুর রহমান নামে এক রোগী সর্বশান্ত হয়েছেন।
৬ মাস চিকিৎসা শেষে অপারেশন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সরকারী হাসপাতালে অপারেশ করেননি। পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাত আর তালবাহানা করে অপারেশন না করে রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠাতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ।
আহত হাফিজুর রহমান শৈলকুপা উপজেলার বিষ্ণুদিয়া গ্রামের দিয়ানত আলীর ছেলে। হাফিজুর রহমানের পিতা মোঃ দিয়ানত আলী শেখ অভিযোগ করেন, আমার ছেলে মোটর সাইকেল এক্সিডেন্ট করার পর ঝিনাইদহ ফিরোজ ডায়াগষ্টিক সেন্টারে ডা. মোঃ মনিরুল ইসলামের তত্বাবধানে দীর্ঘ ৬ মাস চিকিৎসা গ্রহন করেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলতে থাকে। চিকিৎসাকালে ডাক্তার জানান প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করাতে হলে ৩৬ হাজার টাকা আর সরকারি হাসপাতালে করলে ২৬ হাজার টাকা লাগবে।
রোগীর পিতা জানান, আমাদের অর্থ সংকট থাকায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে অপারেশনের জন্য আমার ছেলেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভর্তি করি। সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয় হাফিজুর রহমানের অপারেশন কোথায় কিভাবে হয় সেটি আমি দেখে নেব। ডাক্তারের এই হুমকি দেওয়ার পর তিনি সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ককে বিষয়টি জানান। তত্বাবধায়ক ওই ডাক্তারকে ডেকে অপারেশনের জন্য অনুরোধ করেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় তত্বাবধায়কের অনুরোধ উপেক্ষা করে আমার ছেলেকে অপারেশন না করেই অন্যত্র রেফার্ড করার চেষ্টা করেন। তখন আমি নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) আমার ছেলেকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাই।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে যদি মানুষ সেবা না পায় তাহলে কোথায় গিয়ে সেবা পাবে? ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা বলেন, ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম সুপাররেন্টেডেন্ট সাহেবের কথাও রক্ষা করেনি। এটা দুঃখজনক।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারী) ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে রাগান্বিত কন্ঠে বলেন, হাফিজুর রহমান নামের কোন রোগিকে আমি কোন চিকিৎসা দেয়নি। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। আমার কাছে এ রোগীর কোন চিকিৎসা নেই।