প্রকাশিত: 23/09/2020
রাষ্ট্রীয়-পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক জামাল খাসোগির মৃত্যুবার্ষিকী যখন দ্বিতীয় বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে তখন সৌদি আরবের রাজত্বও পতনের পথে। দেশটি ইতোমধ্যে উপসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যীয় অঞ্চলে নেতৃত্ব ও প্রভাব দুটোই হারাতে শুরু করেছে।
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওপেক এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে সৌদির যে উত্থান ও খ্যাতি ছিল, তাতে এখন ছন্দপতন ঘটতে শুরু করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল মজুদকারী দেশটির ভুল নীতির কারণে ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হারাচ্ছে।
গত পাঁচ বছর দেশটির সময় যেমন ছিল ধ্বংসাত্মক, তেমনি বেদনাদায়ক। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং উচ্চভিলাষ নিয়ে যেভাবে কাজ শুরু করেছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, তা শিরগিরই বেপরোয়াগিরিতে পরিণত হয়।
যুবরাজের পরমার্শদাতা হিসেবে পরিচিত আরেক ম্যাকিয়াভেলি আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ (এমবিজেড)। তার অনুপ্রেরণায় সালমান সব কিছুকে হঠকারী মানসিকতা দ্বারাই বিচার করতে শুরু করেছেন।
অদ তিউনিসিয়া ও লিবিয়ার মতো দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং মিসরে স্বৈরশাসক সিসিকে সমর্থন দেয়া সৌদির দেউলিয়া অবস্থা উন্মোচনের মতোই হয়েছে।
বাশার আল আসাদকে নিয়েও একই অবস্থা সৌদির। দেশটির নিজেদের ভুলের কারণে এখন আমিরাত এগিয়ে চলেছে টেক্কা দিয়ে আর সৌদি ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।
যুবরাজ সালমানের হঠকারীতা হয়ত তার ক্ষমতায় থাকাকে জোরদার করেছে কিন্তু অন্যদিকে দেশটিকে ভয়াবহভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। দেশটি কয়েক বিলিয়ন ডলারে অস্ত্র কিনেছে, ইয়েমেনে পাঁচ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে, এবং তা অব্যাহত আছে- যা বিশ্বে কয়েক বছরের মধ্যে মানবিক বিপর্যয়।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আরব আমিরাত এবং বাহরাইনকে উদ্বুদ্ধ করেছে যুবরাজ সালমান। যা তিনি তার পিতা বাদশা আবদুল আজিজকে না জানিয়ে করেছেন। এছাড়া যুবরাজ ইসরায়েল সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে অন্যদিকে বাদশা বিপক্ষে। এনিয়ে পিতা ও ছেলের মধ্যে 'দ্বন্দ্ব' দেখা দিয়েছে। খবর: আল জাজিরা