প্রকাশিত: 25/09/2020
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী ষ্টেশনে প্রকাশ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী গিয়াস বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া মোঃ তৈয়বের পোস্টমর্টেম শেষে দাফন করা হয়েছে। নিহতের স্বজনেরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
২২ সেপ্টেম্বর বাদে আছর হ্নীলা রঙ্গিখালী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা মাঠে স্থানীয় দুদু মিয়ার পুত্র মোঃ তৈয়বকে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। এই নৃশংস হত্যাযঞ্জের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়ার পাশাপাশি সাধারণ লোকজনের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করছে।
নিহতের পিতা দুদু মিয়া এবং ভাই জাকের দাবী করেন,গত ২১সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকাল সোয়া ৩টারদিকে রঙ্গিখালী সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সামনে মসজিদ সংলগ্ন দোকানে বসা অবস্থায় স্থানীয় গুরা মিয়ার পুত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাত গিয়াস উদ্দিন ওরফে দালাল গিয়াস, মিজানুর রহমান প্রকাশ বাগাইচ্যা, ঊলুচামরী কোনাপাড়ার মৃত রুহুল আমিনের পুত্র আনোয়ার হোছন প্রকাশ লেড়াইয়া, মৃত কবির আহমদের পুত্র বেলালের নেতৃত্বে গুরা মিয়ার পুত্র নাছির উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, রেজাউল করিম প্রকাশ পুতিয়া, মৃত ছমি উদ্দিন পুত্র গুরা মিয়া, এরশাদ উল্লাহর পুত্র লুৎফুর রহমান, আব্দুর রহিম, আব্দুর রহমান বাগু, মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র সরওয়ার কামাল, আবুল মঞ্জুরের পুত্র আব্দুর রহিম, মৃত শফিউর রহমানের পুত্র নুরুল আলম, মৃত কবির আহমদের পুত্র হুমায়ুন কবির, মৃত কালাইয়া বৈদ্যের পুত্র রশিদ আহমদ, মজুনার পুত্র মুহাম্মদ হোসেন প্রকাশ বদাইয়া, মৃত আবুল হোছনের পুত্র নুরুল আমিন, মৃত নজির আহমদের পুত্র মুফিজুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫জন মিলে প্রকাশ্য দিনের বেলায় গুলিবর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করে।
এই ব্যাপারে উপরোক্তরাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও নিহতের পরিবার দাবী করেন এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ডাকাত ও দূবৃর্ত্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।