চীনের 'ফাঁদে' না পরতে মিয়ানমারের নানা পদক্ষেপ  

প্রকাশিত: 30/09/2020

অনলাইন ডেস্ক:

চীনের 'ফাঁদে' না পরতে মিয়ানমারের নানা পদক্ষেপ  

চীনের 'ঋণ ফাঁদের নীতির' বেড়াজালে আটকা পড়ে বিভিন্ন দেশের দাসত্বের শিকার হওয়া দেখে 'নড়েচড়ে' বসেছে মিয়ানমার। দেশটি ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে পুনরায় ভাবছে। এসব প্রকল্প চীন মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের (সিএমইসি) অধীনে।
 
১০০ বিলিয়ন ডলারের সিএমইসি প্রকল্প চীনের ইউনান প্রদেশকে মধ্য মিয়ানমারের মান্ডালের সঙ্গে সংযুক্ত করে, এরপর দক্ষিণে ইয়াঙ্গুন নিউ সিটি এবং পশ্চিমে কিউকফিউ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে পৃথক করতে চাইছে।

কিউকফিউ বন্দরটি বঙ্গোপসাগর উপকূলে অবস্থানের কারণে চীনকে একটি কৌশলগত অবস্থানে অভিগমনের পথ সুযোগ করে দিবে ।

সিএমইসি অধীনে চীন মিয়ানমারে প্রায় ৩৮ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু অন্য দেশের 'ফাঁদে পড়ার' অবস্থা দেখে মিয়ানমার এখন মাত্র ৯ টি প্রকল্প নিয়েছে ।

দেশটি এজন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ করে দেওয়া, প্রকল্প পর্যালোচনা কমিশন গঠন এবং বিদেশী পরামর্শদাতাদের সিএমইসি প্রকল্পে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো।

এছাড়া দেশটি অনুধাবন করেছে, চীনা কোম্পনির লাভবান হওয়ার থেকে কিভাবে মিয়ানমারের জনগণের উপকারে আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

মিয়ানমার ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে যে ইয়াংগন সিটি প্রকল্পে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) পরিবর্তে নতুন ডেভেলপার নিয়োগ দিবে।

এছাড়া চীন যাতে বেশি লাভবান না হয় এবং তাদের প্রভাব কমে এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নিয়েছে মিয়ানমার।

এই বছরের জুনে মিয়ানমারের অডিটর জেনারেল মাও থান চীনের লোনের যে উচ্চসুদ এই ব্যাপারের তার দেশকে সতর্ক করে। এছাড়া মিয়ানমার ইরাবতী নদীতে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইসটোন বাঁধের পুনর্নির্মাণের বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

দেশটির সরকার বুঝতে পারে, বিশাল প্রকল্পটির কাজ এগিয়ে নিলে জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন হবে। কেননা ওই বাঁধ এবং এর প্রবাহের ওপর চীনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

বর্তমানে মিয়ানমারের জেনারেলরা সিএমইসি প্রকল্প ছাড়াও দেশটির উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তে বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে চীনের প্রকাশ্য সমালোচনা করছেন। ডেইলি শিখ

আরও পড়ুন

×