প্রকাশিত: 01/10/2020
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের চলমান সংঘাতে তুর্কি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে বলে আর্মেনিয়া যে অভিযোগ করেছে তার পক্ষে দেশটি কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবে না।
ওই মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছে। সীমান্তবর্তী নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সংঘাত চলছে তাতে ইয়েরেভানের পক্ষ থেকে তুর্কি সামরিক উপস্থিতির অভিযোগ করার পর আঙ্কারা এ বক্তব্য দিল।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়া উপযুক্ত দলিল উপস্থাপন করে তার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী গত কয়েকদিনে প্রমাণ করেছে, তারা কারও সাহায্য ছাড়াই এ সংঘর্ষে বিজয়ী হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
নগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলমান সংঘর্ষে তুরস্ক প্রকাশ্যে আজারবাইজানকে সমর্থন দিয়েছে। আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, আজারবাইজান এ সংঘর্ষে তুরস্কের যুদ্ধবিমান ও কমব্যাট ড্রোন ব্যবহার করছে। তারা এ অভিযোগও করেছেন, সীমান্ত সংঘর্ষে আজারবাইজানকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য সেনাও পাঠিয়েছে তুরস্ক।
এর আগে মঙ্গলবার তুরস্কের একটি যুদ্ধবিমান আর্মেনিয়ার আকাশে সেদেশের একটি জঙ্গিবিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে অভিযোগ করে আর্মেনিয়া। তুরস্ক ওই অভিযোগকে ‘নির্জলা অসত্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত রবিবার সকাল থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর মধ্যে সীমান্তবর্তী বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত দু’পক্ষের বেসামরিক নাগরিকসহ শতাধিক ব্যক্তি নিহত ও কয়েকশ’ মানুষ আহত হয়েছে।
কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ১৯৮৮ সালে উত্তেজনা শুরু হয় যা ১৯৯১ সালে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে বর্তমানে আবার সে সংঘাত মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।