ধামরাইয়ে কোটি টাকা নিয়ে মামা-ভাগ্নে উধাও, গ্রাহকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: 05/10/2020

অনলাইন ডেস্ক:

ধামরাইয়ে কোটি টাকা নিয়ে মামা-ভাগ্নে উধাও, গ্রাহকদের বিক্ষোভ

ঢাকার ধামরাইয়ে ‘রোজ বহুমুখী সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মইনুল ইসলাম ও তার ভাগ্নে আবদুল হালিম গ্রাহকদের অধিক লাভের প্রলোভন দিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সমিতির অফিস বন্ধ করে উধাও হয়ে গেছেন। এতে এলাকার শত শত নিরীহ ও দরিদ্র গ্রাহক তাদের জমানো কষ্টার্জিত টাকার শোকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। 

সোমবার সকালে টাকা ফেরত পেতে ও মামা-ভাগ্নের শাস্তির দাবিতে দেপাসাই বংশী নদীর পাশে এলাকার গ্রাহক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, পাওনা টাকা চাইলে গেলেই উল্টো তাদের ওপর হামলা ও মামলা করছেন টাকা আত্মসাৎকারী হালিমের বাবা শুকুর আলী।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের মুদি দোকানদার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মোড়ারচর গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে মইনুল ইসলাম ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ ধামরাই উপজেলা সমবায় কার্যালয় থেকে ‘রোজ বহুমুখী সমবায় সমিতি’ নামে একটি সমিতির নিবন্ধন নেন। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৫৬৫। এই সমিতির সভাপতি হন মইনুল ইসলাম। 

তিনি তার ভাগ্নে ধামরাইয়ের দেপাশাই গ্রামের আবদুল হালিমকে সঙ্গে নিয়ে ধামরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষকে আমানতের ওপর অধিক লাভ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আমানত সংগ্রহ করতে শুরু করেন। এসময় কয়েক মাস গ্রাহকদের প্রতি মাসে লাখে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লাভ দিতে থাকে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে মইনুল ইসলাম বিশ্বস্ততা অর্জন করেন। 

একপর্যায়ে মইনুল ইসলাম গ্রাহকদের আমানতের টাকা দিয়ে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের পাশে ভালুম মৌজায় ছয় শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে তিনতলা আলিশান বাড়ি করেন। সেই বাসার নিচতলায় তার সমিতির অফিস চালু করেন। 

এতে আরও বিশ্বস্ততায় অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে ধামরাইয়ের দেপাশাই গ্রামের শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন চতুর মইনুল ইসলাম ও তার ভাগ্নে আবদুল হালিম। 

এরপরে গ্রাহকদের টাকা নিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে যান। এতে বিপাকে পড়েন শতশত গ্রাহকরা। এ ঘটনায় গত কয়েকদিন আগে ১০ জন গ্রাহক মইনুল ইসলাম ও আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় ১০টি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। 

ধামরাই উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা পারভীন আশরাফী বলেন, রোজ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মইনুল ইসলাম ও তার ভাগ্নে হালিম গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন

×