প্রকাশিত: 06/10/2020
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার এক মাস পর যখন সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে উদ্ধার করা এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করাসহ পুলিশ-র্যাবের নানা তৎপরতা শুরু হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওই নারী পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন- নির্যাতনের মুখেও সম্ভ্রমটুকু রক্ষা করতে পেরেছেন তিনি। খবর বিবিসির।
ক্ষতিগ্রস্তের বর্ণনা তুলে ধরে এসপি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে আমরা একাধিকবার প্রশ্ন করেছিলাম, উনি বলেছেন- ওরা অনেক চেষ্টা করেছে; কিন্তু আমি আমার সম্ভ্রমটুকু রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু তারা এই সুযোগে ভিডিওটা করে ফেলে।
এ ঘটনার পরও তারা আমাকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দিয়েছে ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে। তাদের ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে।
ঘটনার এতদিন পর ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর মাধ্যমেই তা পুলিশের নজরে এসেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত রোববার দুপুরে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও তাদের নজরে আসে। সেই ভিডিওকে ভিত্তি করে প্রথমে ঘটনাস্থল এবং পরে ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তারা।
এসপি আরও জানান, ঘটনাস্থল এবং এলাকার সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে দুই-তিন ঘণ্টা চেষ্টা করেও ভুক্তভোগীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তারা নোয়াখালী সদরের একটি হাউজিং এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে উদ্ধার করতে পারেন। তখন ওই নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, উদ্ধারের পর মানসিক বিপর্যয় কাটানোর জন্য ক্ষতিগ্রস্তকে প্রথমে কাউন্সেলিং করা হয়। এর পর একটা পরিবেশ তৈরি হলে তখন তারা ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তের কাছ থেকে।
নারীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর এশার নামাজের আগমুহুর্তে ঘটনাটি ঘটেছে। তাকে আগে প্রলোভন দেয়া হয়, কুপ্রস্তাব দেয়া হয়, সেটিতে তিনি রাজি ছিলেন না।
তখন এলাকার যারা এই কালপ্রিট, তারা টিনের ঘরের দুর্বল দরজা বাইরে থেকে লাথি দিয়ে ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রবেশ করার পর ক্ষতিগ্রস্ত স্বামীকে মারধর করে একপাশে ফেলে রাখে। এ সময় তার সঙ্গে অবৈধ কাজ করার চেষ্টা করেছিল।