শৈলকুপায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষনের শিকার হয়ে গর্ভবতী: ৫০ হাজার টাকায় দফারফা

প্রকাশিত: 30/12/2020

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

শৈলকুপায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষনের শিকার হয়ে গর্ভবতী: ৫০ হাজার টাকায় দফারফা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী (২৫) ধর্ষনের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়েছে বলে জানা গেছে। শালিসের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকায় মিমাশা কছেরে  স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বররা। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটির গর্ভপাত ঘটনানোর জন্য তার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করলে তার গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করেছে পরিবারের লোকজন এমন তথ্য এলাকায় ভেসে বেড়াচ্ছে।  জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়দা-শ্রীপুর গ্রামের নজিরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে  প্রতিবেশী ফকির বিশ্বাসের ছেলে জেহের আলী (৫৫) মাস দুয়েক আগে জোর পূর্বক তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটির ঋতু স্রাব বন্ধ হয়ে যায়। মেয়ের মা বিষয়টি বুঝতে পেরে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে ঔষুধ সেবন করায়। তাতেও গর্ভপাত ঘটেনা বরং ঋতু স্রাব বন্ধ রয়েছে বলে তার মা জানিয়েছেন। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটির পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষিতাকে আলট্রাসনো না করাতে হুমকি দিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বররা মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক জেহের আলী গা ঢাকা দিয়েছে। লোক লজ্জার ভয়ে ও সামাজিক চাপে মেয়েটির পরিবার বর্তমানে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে না পারছে ডাক্তার কাছে যেতে, না পারছে থানায় যেতে। স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষক জেহের আলী প্রায়শই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো। বাড়ি ফাকা পেলে মাঝে মাঝে তার ঘরেও ঢুকতে দেখা যেত। মেয়েটিকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করার পর সে সংশোধন না হয়ে আরো তার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের মা জানান, তার মেয়ের ধর্ষিত হওয়ার পর ঋতু স্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি ঋতু স্রাব হওয়ার জন্য মেয়েকে দুই দফা ঔষুধ দিলেও এখন পর্যন্ত ঋতু স্রাব হয়নি। ধর্ষনের ঘটনা যারা দেখেছে তাদেরকেও হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে স্বাক্ষী না দেয়ার জন্য। তারা এখন চক্ষু লজ্জায় অনেকটা প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। আলট্রাসনো করার জন্য ডাক্তারের কাছে নিতে চাইলেও বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসীন হোসেন জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হবে।

আরও পড়ুন

×