প্রকাশিত: 30/05/2021
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ৯নং ওয়ার্ড সাইরারডেইলের ৪৪ পরিবার এলাকায় এক কিশােরীকে ধর্ষণের অভিযােগে দেলােয়ার নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ৯৯৯ এ পুলিশ অভিযােগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা নিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
মাতারবাড়ী ৯নং ওয়ার্ড সাইরার ডেইলের স্থানীয় শের উল্লাহ'র পুত্র দেলোয়ার হোসাইন (২৫) ও আবু তৈয়বের পুত্র শফি আলম (১৮) নামের ২ জনকে আসামি করে মহেশখালী থানায় একটি শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই।
তিনি জানান - ৯৯৯ এ একটি ধর্ষণের অভিযােগে কল পেলে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা নিয়ে একজনকে আটক করে পুলিশ। শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি দেলোয়ার হোসাইন (২৫) কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টার সময় মাতারবাড়ী ৯নং ওয়ার্ড সাইরার ডেইলের ৪৪ পরিবার এলাকায় ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছরের এক কিশোরী খালার বাসায় রান্না করা তরকারি আনতে যাওয়ার সময় স্থানীয় শের উল্লার পুত্র দেলােয়ার ও তার চাচাত ভাই শফি উল্লাহ সহ আরও কয়েকজন বখাটে যুবক মুখ চেপে ধরে স্থানীয় সাইক্লোন শেল্টারের আশেপাশে এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে রাত আড়াইটার দিকে ফেলে চলে যায়।
পরে স্থানীয় কয়েকজন কিশােরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখলে উদ্ধার করে কিশােরীর বাপের বাড়ী নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
আরও জানা যায়, ২৫মে ঘটনা পরবর্তী ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে বিলম্বিত হলে হতে ২৯শে মে শনিবার কিশোরীর চাচাতো ভাই মোহাম্মদ শাহেদ সরকারি হেল্পলাইন ৯৯৯ এ কল করে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হওয়া উক্ত ১৪ বছরের কিশোরীর সঙ্গে ধর্ষক দেলোয়ারের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো আগে থেকে। এবং ধর্ষণের শিকার কিশোরী ধর্ষক দেলোয়ারের বড় ভাই নুর হোসেনের শালী বলে জানা যায়।