দাবি অস্ত্র-মাদক পাচার বন্ধ করা

প্রকাশিত: 07/10/2020

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দাবি অস্ত্র-মাদক পাচার বন্ধ করা

মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে অবৈধ অস্ত্র আর মাদকদ্রব্য আসা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপারটি নয়াদিল্লির অনুসৃত অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির প্রতি হুমকি হয়ে উঠেছে।

দিল্লিভিত্তিক সাংবাদিক জয়ন্ত কালিতা সম্প্রতি এক নিবন্ধে এ কথা বলেন। তিনি লিখেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহীরা এবং সে দেশের সাগাইং অঞ্চলে প্রশিক্ষণরত ভারতীয় বিদ্রোহীরা সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র পাচার করছে। ইদানীং পাচারের জন্য তারা মিজোরাম রাজ্যকে রুট করেছে। অনেক অস্ত্র ধরাও পড়ছে।

মিজোরামের বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) অস্ত্র ও মাদক পাচার বন্ধের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার দাবি তুলেছে। এ দাবি জোরদার হয়ে উঠছে। একদা বিদ্রোহীদের বড় ঘাঁটি মিজোরাম ১৯৮৬-এর শান্তিচুক্তির পর ভারতের সবচেয়ে শান্তিময় রাজ্য হিসেবে পরিচিত। পাচারকারীরা রাজ্যটিকে ফের অস্থির করতে চায়।

ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। জঙ্গি, বিদ্রোহী, সমাজবিরোধী, চোরাকারবারিা অস্ত্র, মাদক, সোনা, দামি পাথর ইত্যাদি সীমান্তের এপার করছে। মিয়ানমারে বছরে ১০০ কোটি পিস ইয়াবা উৎপাদিত হয়। এর বেশির ভাগই পাচার হয় থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারতে।

‘ইকোনমিক টাইমস’ জানায়, মিয়ানমারে যেসব বিদ্রোহীর ঘাঁটি, তারা চীন থেকে অস্ত্র এনে সেগুলো মিজোরাম দিয়ে পাচার করছে। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য বিষয়টি অস্বস্তিকর। পত্রিকাটি জানায়: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আরাকান আর্মির জন্য পাঠানো বিপুল অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে ছিল ৫০০ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩০টি ইউনিভার্সেল মেশিনগান, ৭০ হাজার রাউন্ড বুলেট ও প্রচুর গ্রেনেড।

আরও পড়ুন

×