প্রকাশিত: 16/10/2020
রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজারকুলের হাজীর পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে দোকান ও বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সহ ৩ জনকে গুরুতর আহত করেছে।
এবিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে জয়নাব আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে রামু থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
আসামীরা হলেন,১।সাইফুল ইসলাম(২৪),পিতা মোঃ শফি ২। কাজল (২১) পিতা মোঃ শফি, ৩। মোঃ সামশু(৪২)পিতা মৃত কবির আহমদ, ৪।মোঃ রুবেল(২০)পিতা মকবুল আহমদ, ৫।মোঃ শফি(৬৫), পিতা আবদুল মজিদ, ৬।মকবুল আহম্মদ(৪৫) পিতা মৃত গোলাম কাদের,৭।নুর মোহাম্মদ (২৪)পিতা মৃত কবির আহাম্মদ,তারা সবাই রাজারকুল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাজারকুলের হাজীর পাড়ার বাসিন্দা।
থানার অভিযোগ ও স্থানী সূত্রে জানা যায়,আসামীরা এলাকার উশৃংখল খারাপ প্রকৃতির লোক এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা। এলাকার মানুষ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ১ নং আসামী সাইফুল ইসলাম রামু সেনানিবাসে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে। উক্ত কাজের প্রভাব কাটিয়ে তার দলবল অর্থাৎ উপরোক্ত আসামীদের নিয়ে এলাকায় ডাকাতি,ছিনতাই সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।
কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে মারধর, প্রাণনাশের হুমকি সহ মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। জয়নাব আক্তার জানান,বিবাদীরা আমার প্রতিবেশী হওয়ায় তারা আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ করে।উক্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, মারধর সহ হুমকিধামকি দিয়ে আসছিল।এই বিষয়ে স্হানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের কাছে বিচার দিলে বিবাদীরা সেই বিচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুনরায় আমাদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে মারধর ও খুন করার হুমকি দেয়। তার এই পর্যন্ত দফায় দফায় আমার পরিবারের উপর ৩ বার বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে বিবাদীরা পরিকল্পিত ভাবে পরষ্পর যোগসাজশে দলবদ্ধ হয়ে হাতে ধারালো অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাদীর বসত বাড়িতে এসে অহেতুক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমি ও আমার দুই মেয়ে তার প্রতিবাদ করাতে বিবাদীরা ক্ষীপ্ত হয়ে হিংস্র প্রাণীর মতো ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং আমার স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়ের পরনের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এরপরেও বিবাদীরা সকাল ৮ টার দিকে আমার স্বামীর দোকানে গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও দোকান ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সহ দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ১৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের শোর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। পরে স্হানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
দ্বিতীয় দফায় ৯ অক্টোবর সকাল ৮ দিকে আমি আমার স্বামী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকার সুযোগে বিবাদী মোঃ কাজল আমার মেয়ে রেহেনা আক্তারকে গোসল করা অবস্থায় তার পরনের কাপড় ছিড়ে তাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে এবং শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার শোর চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাদেরকে হত্যা,মিথ্যা মামলা সহ নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
অসহায় পরিবারের দাবি সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।