পানি উন্নয়ণ বোর্ডের আপত্তির মুখে ফিরো গেল বরাদ্দকৃত অর্থ ২০ বছরেও নির্মান হয়নি সেতু

পানি উন্নয়ণ বোর্ডের আপত্তির মুখে ফিরো গেল বরাদ্দকৃত অর্থ ২০ বছরেও নির্মান হয়নি সেতু

যশোরের শার্শা উপজেলার বাঁগাআচড়া বাজারের পাশেই  বেত্রাবতী নদীর ওপর সেতু নেই। নদীটির ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে শার্শার উপজেলার বাঁগাআচড়া, কোটা ইলিশপুর ,ও ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের  পিড়াগাছী, বকুলীয়া সহ আশে পাশের কয়েক গ্রামের প্রায়  ৩০ হাজার মানুষের বসবাস।সেতুর অভাবে  মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিগত ১৭-১৮ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণের জন্য শার্শা উপজেলা পিআইও অফিস থেকে দৈর্ঘ্যে ৬০ ফুট লম্বা সেতু বরাদ্দ দেওয়া হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আপত্তি কারনে সেতু নির্মান করা যায়নি বলে জানান বাঁগাআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি সেতুটি দৈর্ঘ্যে ১৫০ ফুট লম্বা না হলে বেত্রাবতী নদী তাঁর নব্যতা গভীরতা হারিয়ে মারা যেতে পারে। সে কারণে ৬০ ফুট লম্বা সেতুর বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি দপ্তরের ফিরে যায় ।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়,প্রায় ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকোটির দুই পাশে রেলিং নেই। সেটি উঁচু-নিচু অবস্থায় আছে। চলার সময় সেটি দোলে। প্রতিদিন এ পথে বাঁগাআচড়া, সাতমাইল কোটা,ইলিশপুর,পিপড়াগাছি, বকুলীয়া  গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সাঁকোটির পাশেই বাঁগাআচড়ার বাজার। সেখানে সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার দেশের বৃহৎ পশু  হাট বসে। এ দুদিন দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের পশু সহ কৃষকদের সবজি নিয়ে  সাঁকো পার হতে ভোগান্তির শিকার হন।

বাঁগাআচড়া বাজারে রয়েছে আফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, মহিলা মাদ্রাসা, হাইস্কুল সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টান। ফলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে নদীর এপার-ওপারে যেতে হয়। যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থ্য  মানুষকে জেলা শহরে নিয়ে আসতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
ঝিকরগাছা উপজেলার  শংকর ইউনিয়নের  রহিমা খাতুন (৬০) বলেন, ‘আমি কোনো সময় এই সাঁকো দিয়ে হেঁটে যেতে পারি নাই। ভয়ে সব সময় বসে বসে পার হই। একদিন সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম।’
বাঁগাআচড়া  এলাকার মো. আজিজুল হক বলেন, নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটে পাস করার পর আর প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না। প্রায় ২০ বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে বেত্রাবর্তী  নদী পারাপার হয় পথচারীরা।

বাঁগাআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান ইলিয়াসকবির বকুল বলেন, ওই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জনগণ বাঁশের পাটা উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। যশোর শার্শার জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব শেখ আফিল উদ্দিন সাহেব কে বিষয় টি অবহিত করা হয়েছে। দ্রুতই এর একটা ফল পাওয়া যাবে। 

আরও পড়ুন

×