প্রকাশিত: 20/10/2020
নাগরনো-কারাবাখ এলাকায় বিদেশী ভাড়াটিয়া ও জঙ্গিরা জড়ো হচ্ছে এবং তারা উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদের মতো করে গলা কেটে হত্যা পরিকল্পনায় তুরস্কের সহযোগিতা নিচ্ছেন বলে রাশিয়া ও ইরান চরম হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন।
উল্লেখ্য, নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ আজারবাইজান ও আর্মেনায়ার মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর তুরস্ক এ সংঘর্ষে প্রতিবেশি মুসলিম দেশ হিসেবে আজারবাইজানের পক্ষ নেয়।
অপরপক্ষে, আরেক প্রতিবেশি ও মুসলিম দেশ ইরান তার অবস্থান নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। তারা কখনও প্রতিবেশি মুসলিম দেশ হিসেবে মুখে আজারবাইজানকে সমর্থনের কথা বললেও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের অবসন্থান অস্পষ্ট থাকায় প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিশ্বের বাঘা বাঘা নেতৃবৃন্দ আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। এখানে একটা বিষয় পরিস্কার যে, প্রতিবেশি শক্তিশালী দেশগুলো তারা অস্ত্র বিক্রিসহ ভূ-রাজনৈতিক নানান সমীকরন মেলাতে তলে তলে তারা যুদ্ধটা দীর্ঘায়িত করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
আর্মেনিয়া অবৈধভাবে দখলকৃত কারাবাখ থেকে তাদের সৈন্য সরিয়ে নিলেই যুদ্ধ ইতি টানে, এই সহজ সমীকরণ যখন কঠিন করা হয়, তখন নৈতিকভাবে অন্যকে জ্ঞান দেয়া তাদের কতটা সমুচীন!
অপরপক্ষে, আজারবাইজান গ্রামের পর গ্রাম দখল এবং শত শত আর্মেনিয় সৈন্য মারা যাওয়ার পরেই রাশিয়া-ইরানসহ অপরাপর দেশগুলো তারা বিভিন্ন ছুতো দিয়ে আজারবাইজানসহ তুরস্ককে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০-এর দশকে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনিয় সেনাদের সহযোগিতায় । আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে সেই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। বিশেষেজ্ঞদের মতে, অবৈধভাবে বসবাসরত জাতিগত আর্মেনিয়রা কারাবাখ থেকে সরে গেলেই এই যুদ্ধের ইতি টানা সহজ হবে।
তাই আজারবাইজান তার নিজ ভূ-খন্ড জবর-দখল থেকে রক্ষা করতে যা যা করা, তাই করবে। এতে জানমালসহ যা ক্ষতি হবে তার দায়িত্ব আন্তর্জাতিকভাবে দায়িত্বরত বিশ্ববিবেক ও নেতাদেরই নিতে হবে।