'কোনোভাবেই অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করবে না ইরান'

প্রকাশিত: 21/10/2020

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

'কোনোভাবেই অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করবে না ইরান'

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, তার দেশের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তারা কোনোভাবেই অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করবেন না।।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকের দেয়া বক্তব্যে জাওয়াদ জারিফ একথা বলেন। রাশিয়ার উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জাওয়াদ জারিফ বলেন, আমাদের অঞ্চলে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা রয়েছে। পাশাপাশি চরমপন্থী এবং সন্ত্রাসবাদের বিপদজনক উত্থান ঘটানো হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকে সর্বাধুনিক অস্ত্রের গুদামে পরিণত করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বাইরের কিছু দেশ তাদের সেনা মোতায়েনের সুযোগ নিয়েছে এবং এ অঞ্চলে তারা বিপুল পরিমাণে অস্ত্র বিক্রি করছে।

জারিফ একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, “পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকা প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে এবং ২৯টি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে ৩০০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। প্রায় সব সময় আমাদের পানিসীমার কাছে আমেরিকার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ টহল দেয় এবং বহুসংখ্যক ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকার সেনা, স্পেশাল ফোর্স, বিমান ও নৌবাহিনীর জন্য চারটি সেন্ট্রাল কমান্ড হেডকোয়ার্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।”

জারিফ আরো জানান, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার চার ভাগের এক ভাগ কিনেছে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো এবং আমেরিকা হচ্ছে প্রধান বিক্রেতা। বাইরের দেশগুলোর সামরিক উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের জনগণকে রক্ষার জন্য নয় বরং তাদের ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য বলেও মন্তব্য করেন জারিফ। 

নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্স এর সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সুলাইমানি হত্যার প্রসঙ্গটিও টানেন। তিনি বলেন, উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের প্রধান শত্রু কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জাওয়াদ জারিফ তার বক্তৃতায় সুস্পষ্ট করে বলেন, বিপুল অর্থের বিনিময়ে সর্বাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র কেনা যায় কিন্তু তা দিয়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনা যায় না।

আরও পড়ুন

×