প্রকাশিত: 23/10/2020
আর্মেনিয়ার দখল থেকে নতুন করে আরও ১৩ গ্রাম দখলমুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। শুক্রবার এক ঘোষণায় এ কথা জানান দক্ষিণ ককেসাস অঞ্চলের আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
ইলহাম আলিয়েভ এক টুইটে বলেন, খোজাভেন্ডের দোলানার ও বুনায়াদলি, জাবরাইলের দাগ তুমাস, নুসুস, জেলেফলি, মিনাবাশিলি এবং ভেয়েসেলি গ্রাম। এছাড়া জাঙ্গালিনের ভেনেদলি ও মির্জাহাসানলি গ্রাম দখলমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি টুইটে আজারবাইজানি সেনাবাহিনীর দীর্ঘজীবন কামনা করেন। পাশাপাশি কারাবাখ আজারবাইজানের বলেও উল্লেখ করেন। আর্মেনিয়ার দখল থেকে আজারবাইজানি আরও অঞ্চল মুক্ত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।
পরে আরেক টুইটে আলিয়েভ জানিয়েছেন, গুবাদলির জিলানলি, কুর্দ মারিজলি, মুগানলি এবং আলাগুরশাগ গ্রাম আজারবাইজানের সেনাবাহিনী দখলমুক্ত করেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।
১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।
দ্বিতীয়বারের মতো ১৭ অক্টোবর রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে।