প্রকাশিত: 26/10/2020
ব্যাংককবাসী জেনারেল প্রাউতের পদত্যাগ চান। চান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন হোক এবং থাই রাজপরিবারের আইনি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্তৃত্বের সংস্কারও দাবি করেন।
প্রধানত শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ থেকেই এ বিক্ষোভ প্রাথমিকভাবে দানা বাঁধে। তরুণ শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মাধ্যমে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। নানা ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করে বিক্ষোভকে একটু-একটু চাঙ্গা করে তুলেছেন। সামরিক শাসনের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা থাইল্যান্ডের নতুন প্রজন্মের ক্ষোভ প্রথম দিকে শুধু জেনারেল প্রাউতের বিরুদ্ধেই ছিল। কিন্তু এখন তার সঙ্গে আরও অনেক দাবি যোগ হয়েছে।
২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রাউত গদিতে বসেছিলেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভও করেন তিনি। থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। জেনারেল প্রাউতকে মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন এই জন্য যে, তিনি এই অবস্থার বদল আনবেন। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনতে পারেননি প্রাউত।
বরং কোভিড-১৯-এর কারণে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও বেড়েছে। এই সব কারণেই প্রাউতের পদত্যাগ চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে, প্রাউতের সমালোচনা ও তার পদত্যাগের দাবিকে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন পাত্তা দেয়া হয়নি।
গত আগস্টে বিক্ষোভরত জনতার সামনে পানুসায়া সিথিজিরাওয়াতানাকুল নামের ২১ বছরের এক তরুণ ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করার পরে বিক্ষোভ নতুন দিকে মোড় নেয়। পানুসায়ার ভাষণ বিক্ষোভে একটি ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ করে এবং এর পরেই বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে