প্রকাশিত: 29/10/2020
পাকিস্তানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে জনসম্মুখে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের দ্য ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) এ নির্দেশ দেয়।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনে আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়সাল সুলতান গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনায় ফয়সাল সুলতান বলেন, পাকিস্তানে দিন দিন কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বাড়ছে। কয়েক দিন আগে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৫০০। এখন তা ৭০০ থেকে ৭৫০ হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর হারও। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের সংখ্যা আগে ছিল ২ শতাংশের কম। এখন এটি প্রায় ৩ শতাংশের কাছাকাছি।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৈঠক করে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করা দেশটির শীর্ষ জাতীয় কমিটি এনসিওসি। এতে সভাপতিত্ব করেন দেশটির পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী আসাদ উমর। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ঘরের বাইরে বেরোলে সকল নাগরিকের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও মাস্ক পরতে হবে।
বৈঠকে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্টেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। পিসিআর টেস্টের চেয়ে অ্যান্টিজেন টেস্টে সময় অনেক কম লাগে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী আসাদ উমর বলেন, টেস্টের পরিমাণ বাড়ানোর জন্যই অ্যান্টিজের টেস্টের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকারকে মাস্ক পরার বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারি করার জন্যও বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে বাজার, শপিং মল, গণপরিবহন এবং রেস্তোরাঁয় মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য বলা হয়।