খুলনা জেলার মানুষকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, অন্যান্য জেলার লোক শুধুই দর্শক! 

প্রকাশিত: 09/11/2020

ম.খ আলম, ডে-নাইট নিউজ:

খুলনা জেলার মানুষকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, অন্যান্য জেলার লোক শুধুই দর্শক! 

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। অপরপক্ষে, বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোর লোকজন খুলনা জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তারা দর্শক হিসেবে থাকতে চাননা, তারা চান অতি দ্রুত অন্যান্য জেলার প্রশাসকদের উদ্যোগে অনুরূপ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে।

আজ সকাল ১০টা থেকে খুলনা নগরের দুটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। প্রথম দিনেই ১ ঘণ্টায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। পাশাপাশি ৮ জনের নিকট থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন।

খুলনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঢেউ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসন বেশ কিছুদিন থেকে জনগণকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে বিভিন্নভাবে সচেতন করে আসছেন। আজ থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীসহ অন্যান্য সরকারী-বেসরকারী সংস্থা বিনা পয়সা মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিচ্ছে।

তাই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে খুলনা জেলাকে মডেল হিসেবে নিয়ে দেশের প্রত্যেক জেলাতে এসব পদক্ষেপ নিলে দেশের মানুষকে অতি সহজেই করোনাভাইরাসের মহামারী থেকে অনেকটা রক্ষা করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের ঘর থেকে বের হলে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। এর আগে সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অনেককে জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তেমন না আসায় এখন জরিমানাসহ কারাদন্ডের ব্যবস্থা করা হয়। 

তাই দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তথা ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনায় আপাতত ঘরের বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের মাস্ক পরা বাধ্যতামলূক করা গেলে এই মহামারী অনেকটা ঠেকানো সম্ভব।

আরও পড়ুন

×