প্রকাশিত: 29/10/2020
ফ্রান্স থেকে আরও ১৬টি যুদ্ধবিমান ‘রাফাল’ পাচ্ছে ভারত। আগামী ৫ নভেম্বর তিনটি ‘রাফাল’ ভারতের হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে পৌঁছাবে। এগুলো ভারতীয় বিমান বাহিনীর ‘গোল্ডেন অ্যারো (১৭ নম্বর) স্কোয়াড্রনে’ অন্তর্ভুক্ত হবে।
এছাড়াও দেশটিতে জানুয়ারিতে তিনটি, মার্চে তিনটি ও এপ্রিলে সাতটি রাফাল পৌঁছাবে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, ২১টি এক আসনবিশিষ্ট যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি সাতটি দুই আসনবিশিষ্ট প্রশিক্ষণ রাফালও ভারতের হাতে চলে আসবে। যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ১৮টি আম্বালায় রেখে তিনটিকে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে পাঠানো হবে।
২০১৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্স থেকে মোট ৩৬টি রাফাল বিমান কিনছে ভারত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বিমান ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ‘মিডিয়াম মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট’ রাফালে রয়েছে ইউরোপের মিসাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা এমবিডিএ-র ‘ম্যাটিওর’ বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (দৃষ্টিশক্তির বাইরে আঘাত হানতে সক্ষম) এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাল্প’ এবং ‘হ্যামার’ (হাইলি অ্যাজাইল অ্যান্ড ম্যানুভারেবল মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও (রিফুয়েলিং) দক্ষ রাফাল।
২০০৭ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের কাছ থেকে ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর দাসোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয়। ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তি হয়। মোদি সরকারের এ চুক্তি নিয়ে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা সরব হয়।
অভিযোগ, ইউপিএ আমলের চুক্তি অনুযায়ী বিমান পিছু যেখানে ৫৭০ কোটি টাকা দাম পড়ছিল নয়া চুক্তিতে বিমানপিছু দাম পড়ছে ১৬৭০ কোটি টাকা। অনেক বেশি দামে চুক্তি করা এবং অনিল আম্বানীর সংস্থাকে বিমান তৈরির বরাত পাইয়ে দেয়া নিয়ে সেই সময় বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়ে মোদি সরকার।