প্রকাশিত: 29/10/2020
বাংলাদেশ মিয়ানমার দু’রাষ্ট্রের জিরো পয়েন্টের শূণ্য রেখাটি নো ম্যানস ল্যান্ড নামে পরিচিত। এক পাশে কাঁটাতার অন্য পাশে খাল, মাঝখানে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গার অনিশ্চিত বসবাস। যদিওবা স্থানটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তথাপিও কোমলমতি শিশু কিশোর জানে না তারা কোথায় আছে, কেমন আছে। জাতিগত পরিচয় আর নাগরিকত্বহীন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের শিশুদের ক্ষেত্রে এমননি একটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র।
মুসলিম বিদ্বেষী মিয়ানমারের সশস্ত্র রাখাইন জনগোষ্ঠী জাতিগত নিধনের ফলে প্রাণ বাচঁাতে পালিয়ে আসে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা।
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমারের গ্রামেগঞ্জে যখন ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলছিল, বেনটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত রোহিঙ্গা নারী পুরুষ শিশুদের আর্তচিৎকারে যখন আকাশ বাতাশ প্রকম্পিত হয়ে উঠছিল, তখন অসহায় রোহিঙ্গারা তাদের প্রিয় মাতৃভূমি, সহায় সম্বল ফেলে রেখে চলে আসে এদেশে। সীমান্তের উলুবনিয়া, আনজুমানপাড়া, নলবনিয়া, রহমতের বিল, কাটাখালী, ধামনখালী, ফারিরবিল সংলগ্ন নাফনদী পার হয়ে রোহিঙ্গা পারাপারের ঢল নামে। সরকার মানবিক কারণে এসব রোহিঙ্গাদের তাৎক্ষনিক ভাবে আশ্রয়ের পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসলেও তা সংকুলনা হচ্ছিল না। পরবতর্ীতে সরকারের পাশাপাশি দেশি বিদেশী এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে।