প্রকাশিত: 29/10/2020
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকে কৃষকের নামে ভ‚য়া কাগজ পত্র তৈরি ও মৃত ব্যক্তিদের নামে ঋণ উঠিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপক শৈলেন কুমার বিশ্বাস, ক্রেডিট অফিসার আব্দুস সালামকে বরখাস্ত ও মাঠ সহকারী আজির আলীকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা অগ্রনী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল ইসলামসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যাংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাত।
জানা গেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গত ২৭ অক্টোবর “কালীগঞ্জে কৃষিঋণের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দিন ঢাকা থেকে তদন্ত কমিটি এসে দায়ী ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়ে তাদের বরখাস্ত ও অব্যাহতি প্রদান করেন।
অগ্রণী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার বর্তমান ম্যানেজার নাজমুস সাদাত জানান, আর্থিক অনিয়মের কারণে অগ্রণী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমান চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত শৈলেন কুমার বিশ্বাস, ক্রেডিট অফিসার আব্দুস সালামকে বরখাস্ত ও মাঠ সহকারী (অস্থায়ী) আজির আলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
ব্যাংকটির পূর্বের ম্যানেজার শৈলেন কুমার বিশ্বাসকে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত, ক্রেডিট অফিসার আব্দুস সালাম কালীগঞ্জ শাখায় ও মাঠ সহকারী আজির আলী ঝিনাইদহ হামদাহ বাসস্ট্যান্ড শাখায় কর্মরত ছিলেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৭ সাল থেকে ৪% সুদে কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
কৃষকের ঋণের কাগজপত্র জাল ও মৃত ব্যক্তিদের নামে ঋণ তুলে ব্যাংকটির সাবেক ম্যানেজারসহ তিন কর্মচারী দুই কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেন। অনেক কৃষক ঋন না নিয়েও এখন ঋনী। তাদের নাম ব্যবহার করে ঋন উত্তোলন করা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল মালেক মৃত্যুবরণ করেন প্রায় ৩ বছর আগে।
কিন্তু তার নামে ৪৮ হাজার ঋন তোলা হয়। পুকুরিয়া গ্রামের হোসেন আলী মারা গেছেন ২ বছর আগে। তার নামেও ৪৭ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়। এ নিয়ে গত ১ মাস ধরে অগ্রণী ব্যাংকের ঝিনাইদহ আঞ্চলিক অফিস থেকে তদন্ত কমিটি কাজ করছিল।