প্রকাশিত: 04/11/2020
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। দেশজুড়ে বিরাজ করছে টানটান করেছে উত্তেজনা। দেখা দিয়েছে নজিরবিহীন সহিংসতা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও লুটপাটের আশঙ্কা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অনেক দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার আশঙ্কা নিয়ে ভীত। কারণ এতে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। ফলে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা পিজবোর্ড দিয়ে দোকানের সামনের অংশ ঢেকে দিচ্ছেন সম্ভাব্য সহিংসতা এবং হামলা থেকে বাঁচতে।
খবরে বলা হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে স্যাকস, ফিফথ এভিনিউ, নোরডস্ট্রম এবং ফার্মেসি চেইন সিভিএস।
ইতোমধ্যে কয়েকটি শহরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন ও পরবর্তী দিনগুলোয় জ্বালাও-পোড়াও ও ভাংচুরের ভয়ে ঘরবাড়ি ছাড়ছে সাধারণ মার্কিনিরা।
ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে বড় রকমের সহিংসতা কিংবা লড়াই হতে পারে। আর এরকম কিছু একটা অবশ্যই ঘটবে
সোমবার এক টুইটে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনের তিনদিন পর পর্যন্ত গণনা করা যাবে পোস্টাল ভোট। সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে, গণনায় বেশি সময় নিলে সহিংসতার হতে পারে।আদালতের রায়কে বিভ্রান্তিকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই পোস্টাল ভোটে কারচুপির আশঙ্কা করছেন ট্রাম্প। তিনি প্রথম থেকেই পোস্টাল ব্যালটের বিরোধী করে আসছেন। মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ায় তাঁর প্রচার দফতরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প, এবং বাইডেন যাবেন তার জন্মস্থান স্ক্র্যানটনে, সোমবার পেনসিলভেনিয়া গিয়েছিল ট্রাম্প তবে বাইডেন যাবেন মঙ্গলবারে।
নির্বাচন কাছাকাছি চলে আসায় বড় উদ্বেগের কারণ হচ্ছে নির্বাচনকে ঘিরে আইনী বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। কারণ বিগত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প এই ভোট প্রক্রিয়াতে মানুষের আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। এনডিটিভি।