প্রকাশিত: 06/11/2020
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ ছকিদুল ইসলাম গং এর বিরুদ্ধে ৬ মাসের অন্ত:সত্তা নারীসহ দুই ভাইকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার (৩-নভেম্বর) সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামে সংগঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। যানা গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গুরুতর জখম হয়ে আহতরা হলেন, উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের মৃতঃ হোসেন আলীর ছেলে ওবাদুল ইসলাম (৪০), রবিউল ইসলাম (২৮), রবিউল ইসলামের স্ত্রী বিলকিছ বেগম (২৭)। অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, বসত বাড়ীর পার্শ্বে তফসিল বর্ণিত কবলা মূলে মধ্যম সুন্দর খাতা মৌজার ৪৮২ দাগের ৬ শতাংশ জমি ভোগ দখল থাকা অবস্থায় উক্ত জমিতে গত ৩ নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার সকালে রবিউল ইসলাম আইল বাঁধার পর বাড়ী ফেরার সময় বিবাদীগণ জোত জমির মিথ্যা স্বত্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে রবিউল ইসলামের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে ছকিদুল ইসলাম সহ তিন ছেলে রানা হোসেন (২৩), রায়হান আলী (২৬), রাসেল হোসেন (৩০) ও একই এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০), আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল হান্নানসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন রড ও লাঠি দিয়ে মারপিট করতে থাকে। ওই সময় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী বিলকিছ বেগম ঘটনাস্থল এসে স্বামী রবিউল ইসলামকে মারপিট থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও মারপিট করে গলা থাকা স্বর্ণের চেইন টেনে ছিড়ে নেয়। অভিযোগে আরো যানা যায়, কাঠ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের বড় ভাই ওবায়দুল ইসলাম বাড়ীর বাহির হয়েই দেখে ডাংমার ও ঝগড়া। ঘটনাস্থল থেতে রবিউলকে উদ্ধারের জন্য আসলে তাকেও মারপিট করে প্রতিপক্ষরা। পরবর্তীতে আশপাশের এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমান আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলাম অভিযোগের ভিত্তিত্বে প্রাথমিক তদন্ত করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।