প্রকাশিত: 10/11/2020
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্প্রতি দেশটির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল গিলগিট-বালতিস্তান সফর করেন। এ সময় তিনি সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এগুলোর মধ্যে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও নদী বাঁধ নির্মাণ অন্যতম। এছাড়াও তিনি গিলগিট-বালটিস্তানকে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ করার ঘোষণা দেন।
‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষে স্থানীয়দের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ইমরান খান শেষ প্রচেষ্টা ঘাটতি রাখেননি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে ভোট গ্রহণের ঘোষণা ও বিশেষ প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণায় ভারত তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারতের মনে করে কাশ্মীরের উত্তর সীমান্তঘেঁষা গিলগিট-বালটিস্তানকে জোর করে শাসন করে আসছে ইসলামাবাদ।
ভারতের দাবি পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করেছে। কারণ ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী গিলগিট-বালতিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ ছিল। জোর করে দখল করা এ এলাকার কোনো পরিবর্তনই করার কোনো অধিকার নেই পাকিস্তানের। এর আগে অনুরূপ দাবি করেছিল ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান, যখন কাস্মীরের বিশেষ অধিকার বাতিল করেছিল ভারত।
মানবাধিকার কর্মী ড. আমজাদ আইয়ুব মির্জা ভারতের দাবির বিষয়ে বলেন, সত্যি বলতে গিলগিট-বালতিস্তানে ভোট গ্রহণ অবৈধ। জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী অঞ্চলটি ভারতের অঞ্চল বলে স্বীকৃত। আর এটি ১০৪৭ সালে পাকিস্তান দখল করে নিয়েছিল।
এ বিষয়ে ড. আমজাদ আইয়ুব মির্জা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব কথা উল্লেখ করেন, সেখানে তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান গিলগিট-বালতিস্তানে কোনো ধরনের অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনতে পারবেন না।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার বর্তমানে নানা সমস্যায় পড়েছেন। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশটিতে। এসব কারণে সেনাবাহিনী সমর্থিত ইমরান খানের সরকার দুর্গম অঞ্চল গিলগিট-বালতিস্তানকে পঞ্চম প্রদেশ ও সেখানে ভোট গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। যাতে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরানো যায়।