আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার পাশে ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন।

আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার পাশে ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালার কৃতিসন্তান নব নির্বাচিত হওয়া ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং যাত্রার শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ। 

এই বছরের শুরুতেই পথচলা আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার। জোয়ারিয়ানালার কয়েকজন আলেমের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদ্রাসাটি। লকডাউনে কার্যক্রম বন্ধ থাকার দীর্ঘদিন পর সেপ্টেম্বরে পুনরায় শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয়। সদ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া মাদ্রাসাটি ৪র্থ শ্রেণীর ২০ জন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ক্রমান্বয়ে মাদ্রাসাটিতে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর) পর্যন্ত চালু হবে। ইতিমধ্যে পাঠদান করেন অভিজ্ঞ ৪ জন শিক্ষক। স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিজেদের আর্থিক ও সার্বিক নেতৃত্বে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছেন আলেমগণ।

মাদ্রাসার বেশ কিছু বিষয়ে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন ( S M Saddam Hossain) ভাইয়ের সাথে। এসময় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ মাদ্রাসার জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা সহ সকল বিষয় উনার কাছে উপস্থাপন করলে সাদ্দাম হোসেন ভাই বলেনঃ আমার ও বহুদিনের স্বপ্ন জোয়ারিয়ানালায় একটি মহিলা মাদ্রাসা করব। আপনারা সেই স্বপ্নকে সহজ করে দিয়েছেন। আমি মাদ্রাসার জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে যত প্রকার সহযোগিতা দরকার ব্যাক্তিগতভাবে করব। প্রয়োজনে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য জমি দান করব। এছাড়াও পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য আমি মাদ্রাসা কমিটির সদস্য হিসেবে থাকতে চাই। প্রতিমাসে শিক্ষকদের বেতনের জন্য নিয়মিত নির্ধারিত অঙ্কের চাঁদা প্রদান করব। এবং সবসময় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির পাশে থাকব।

উনার  এমন বক্তব্যে মুগ্ধ হয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। 

সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতোই একজন এস এম সাদ্দাম হোসেন ভাই। করোনাকালীন সময়ে আমি ত্রাণ বিতরণের সুবাদে উনার কার্যক্রম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালীন অসহায় মানুষদের মধ্যে রাতের আঁধারে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সেটা হয়তো অনেকেই জানেন। আমি যেটা দেখেছি তিনি নিজেই ঐ ত্রাণ সামগ্রী প্যাকেট করার সময় নিজ হাতে তা সবার সাথে প্যাকেট করতেন। সারা শরীর ঘামে ভিজে যেত। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কাজে লেগেই থাকতেন। ত্রাণের সঠিক বন্টনের নিশ্চিত করতেন নিজের উপস্থিতিতে। অসহায় কৃষকদের ফসল নিজে কেটে নিজ কাঁধে বহন করে পৌঁছে দিয়েছেন কৃষকদের দোরগোড়ায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শরিক হয়েছেন করোনায় মৃত ব্যক্তির কাপন ও দাফনের মতো মহৎ কাজে। সবজির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজি বাগান ক্রয় করে তা বিনামূল্যে অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেছেন। এছাড়াও দিনরাত মানুষের সহযোগিতায় নিজের মূল্যবান সময়টুকু উৎসর্গ করেন তিনি।

আমার মতে তিনি একজন যোগ্য, মেধাবী ও মানবিক নেতা। সব ধরনের গুণাবলী উনার রয়েছে উনার। তিনি অনেক অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার এস এম সাদ্দাম হোসেন ভাই। ইতিমধ্যে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর হতে তিনি যেভাবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সেটাই প্রমাণ করে তিনি একজন মানবিক ও আদর্শ ছাত্রনেতা।

আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার পাশে থাকার জন্য সাদ্দাম হোসেন ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এবং উনার ভবিষ্যত পথচলা অনিন্দ্য সুন্দর ও সুগম হউক এবং সফলতা ঘিরে থাকুক জীবনের গতিপথে সেই প্রত্যাশা করছি।

কৃতজ্ঞতায়ঃ
তৌহিদুল ইসলাম বারেক
সহকারি শিক্ষক
আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা।

আরও পড়ুন

×