প্রকাশিত: 11/11/2020
উপজেলা বিএনপি'র নেতৃত্ব একাধিক বলয়ে বিভক্ত হওয়া সত্বেও শার্শা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে মুখরিত এখন উপজেলার প্রতিটি গ্রামের পাড়া মহল্লা।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিকুল হাসান তৃপ্তি দল থেকে বহিস্কার হলে দলের মধ্যে গ্রুপিং মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তখন থানা বিএনপির নেতৃত্ব দখল নিতে গড়ে উঠে খায়রুজ্জামান মধু গ্রুপ, হাসান গ্রুপ লিটন গ্রুপ। তারপরও দলের বেশি অংশ থেকে যায় তৃপ্তির পক্ষে।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে দলে তৃপ্তির বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার হলে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পাবার পর ঝিমিয়ে পড়া তৃপ্তি গ্রুপ ঘুরে দাঁড়ায়। বিভিন্ন গ্রুপে ভর করা কর্মি সমর্থকরা আশ্রয় নেয় তৃপ্তির পক্ষে।
বিষয়টি পরিষ্কার হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতে যুবদলের প্রচারনা সভায়। দৃশ্যমান গ্রুপের কর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপস্থিত হলেও দেখা যায় বেশির ভাগ অর্থ্যাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ সমর্থক ছিল তৃপ্তির পক্ষে।
প্রায় একযুগ আগে পুলিশ আর ক্ষমতাসীনদলের অত্যাচার আর নির্যাতনে কোনঠাসা হয়ে পড়ে শার্শা উপজেলা বিএনপি'র রাজনীতি। নির্যাতনের ভয়ে অনেক কর্মী সমর্থক সসে সে সময় বাজার ছেড়ে ঘরে আবার কেউ বা ঘর ছেড়ে আশ্রয় নেয় জেলা বা রাজধানী শহরে। এমনি পরিস্থিতির মুখে অফিস বন্দি হয়ে পড়ে রাজনীতির মাঠ।
বেনাপোল ছোট আঁচড়া ওর্য়াড কাউন্সিলার যুবদল নেতা আব্দুল আহাদ জানান, আমরা পত্রিকার খবরে জানতে পেরেছি টাকার বিনিময়ে দলের পদ বিক্রি হচ্ছে। এটি হলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি ত্যাগী নেতাকর্মী দের মুল্যায়ন করার দাবী জানান। তিনি আরো বলেন, স্থবির রাজনীতির মাঠ সরগরম করতে মাঠে নামেন সাবেক সভাপতি মফিকুল হাসান তৃপ্তি অব্যাহত রাখেন এবং কর্মিসভার আগেরদিন বেনাপোলে ব্যাপক গনসংযোগ করেন।
তার ফলশ্রুতিতে কর্মী সমর্থকদের উপস্থতিতে যুবদলের সভা সুষ্ঠুভাবে সফল করা সম্ভব হয়েছে। শার্শার বিএনপি সমর্থক রা প্রমান করে দেখালো দলে তৃপ্তির বিকল্প কোন নেতৃত্ব কেউ মেনে নেবে না।