চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৩৪ জন জলদূস্যুর আত্মসমর্পণ।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৩৪ জন জলদূস্যুর আত্মসমর্পণ।

বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের ১১টি বাহিনীর ৩৪ জন জলদস্যু অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে বাঁশখালী পৌরসভা বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
এই প্রসঙ্গে র‍্যাব বলছে, হাজার হাজার উপকূলবর্তী মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় চিহ্নিত জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন। জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হবেন তারা। এর মধ্যে দিয়ে উপকূল অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইবে। এতে উপস্হিত ছিলেন,
আসাদুজ্জামান খান মাননীয় মন্ত্রী স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়,বিঃ শামসুল হক টুকু এমপি সভাপতি স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সংসদ সদস্য চট্রগ্রাম ১৬ বাঁশখালী, মোঃ মোসলেম উদ্দিন সংসদ সদস্য বোয়ালখালী ৮ আসন, সভাপতি চট্রগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি সংসদ সদস্য কুতুবদিয়া মখেশখালী,মোঃ জাফর আলম এমপি চকরিয়া কক্সবাজার, মোস্তফা কামাল উদ্দিন সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়, ডঃ বেনজীর আহমদ,বিপিএম (বার)পুলিশ মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশ, সভাপতিত্ব করেন, লেঃ কর্ণেল মোঃ মশিউর রহমান জুয়েল, পিএসসি র্র্যাব ৭, তোফাইল মোস্তফা ছরওয়ার,উপপরিচালক র্র্যাব, চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ব্যবস্থাপনায় র্র্যপিডএ্যাকশন ব্যাটালিয়ন -৭ চট্রগ্রাম
এর কাছে যারা আত্নসমর্পন করেছে তারা হলেন, আত্মসমর্পণ করেছেন যারা: বাইশ্যা বাহিনীর মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত (৫২), মো. আহামদ উল্লাহ (৪২), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর (৪৭), মো. দিদারুল ইসলাম ওরফে পুতিক্যা (৩২), মো. জসিম উদ্দিন (২৬), মো. মিজানুর রহমান (২৩), আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাইশ্যা (২৯), মো. বেলাল মিয়া (৩০), মো. আব্দুল হাকিম বাক্কু (৩৫), মো. রশিদ মিয়া (৩৬)। খলিল বাহিনী বাদল বাহিনীর কুতুবদিয়া থানার আব্দুর রহিম (৬৪), মো. মাহমুদ আলী প্রকাশ ভেট্টা, মো. ওবায়দুল্লাহ (৩৬), মো. ইসমাইল (২৪) সাহাবুদ্দিন ওরফে টুন্নু (৩২)। রমিজ বাহিনীর মো. ইউনুছ (৫৬), মো. তৌহিদ ইসলাম (৩৪), মো. ফেরদৌস (৫২), মো. রেজাউল করিম (৪০)। বাদশা বাহিনীর মো. নিজাম উদ্দিন ভান্ডারী, মো. ইউনুস (৫১), কামাল উদ্দিন (৪৭), মো. আব্দু শুক্কুর, ইউনুচ (৪২)। জিয়া বাহিনীর সাহাদাত হোসেন (দোয়েল) (৪১), মো. পারভেজ (৩৩), মো. নাছির (৫১), আমির হোসেন (৪৮), মো. সাকের (৪০)। কালাবদা বাহিনীর মো. সেলিম বাদশা (৩৪), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৩১), মো. মামুন মিয়া (২৭), মো. মন্জুর আলম (৪২)।

অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার: এই ৩৪ জন জলদস্যু আত্মসর্মপণের সময় তারা বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। বাইশ্যা ডাকাত বাহিনী ৩ জন এলজি- ৪১ টি, থ্রি কোয়াটার এলজি ১৯টি, বিদেশি পিস্তল ১টি, রিভলবার ১টি, এসবিবিএল ৫টি, এসবিবিএল বন্দুক ১৬টি, ডিবিবিএল বন্দুক ১টি, ওয়ান শুটারগান ১টি, থ্রি কোয়াটার ওয়ান শুটারগান ১টি, এসবিবিএল ওয়ান শুটারগান ১টি, পাইপগান ১টি, এয়ারগান ২টি এবং .১২ বোরের গুলি ৮৮৬ রাউন্ড এবং .২২ বোর রাইফেলের গুলি ১,১৭০ রাউন্ড জমা দিয়েছে।

র‍্যাব বলছে, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত র‍্যাব চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪৮ জন জলদস্যুকে আটক করে। উদ্ধার করে ৭৯৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮৮৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ। এছাড়াও ২০১৮ সালে ৪৩ জন জলদস্যু র‍্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

আরও পড়ুন

×