কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলিতে ভারত-পাকিস্তানের ১৫ জন নিহত

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে লড়াইয়ে ভারতের ৬ জন বেসামরিক লোক, ৩ জন সেনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। অপরপক্ষে, পাকিস্তানের ৪ জন বেসামরিক ও ১ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শুক্রবার সীমান্তের কেরান সেক্টরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিককালে এটি সব চেয়ে বড়াই যুদ্ধ। এ ঘটনা ভারত-পাকিস্তানের সেনারা একে-অপরকে দায়ী করছে।

ভারত বলছে, পাকিস্তান কোনো কারণ ছাড়াই যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে মর্টার হামলা ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করেছে। বিবৃতিতে তারা আরও দাবি করে, ভারতীয় সেনাদের পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তান বাহিনীর অবকাঠামোগত অনেক ক্ষতি ও হতাহত হয়েছে। দুই দেশের সৈন্যদের লড়াইয়ে স্থানীয় বাসিন্ধাগণ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।

পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ শহীদ কাদরি অভিযোগ করেন, ভারতের সৈন্যরা বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে নিহত পাকিস্তানীদের মধ্যে একজন বেসামরিক নারীও রয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২৭ জন।

নিয়ন্ত্রণরেখায় ২ পক্ষের লড়াইয়ে ৩ ভারতীয় সৈন্য ও ৩ জঙ্গি নিহত হওয়ার ৫ দিন পর ভারত পাকিস্তানীদের মধ্যে এই লড়াইয়ের ঘটনা ঘটলো।

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান রাষ্ট্র পৃথক হওয়ার পর কাশ্মীর রাজ্যও বিভক্ত করে দুই দেশ শাসন করে আসছে। কিন্তু পুরো কাশ্মীরকে দু'টি দেশই নিজেদের বলে দাবি করছে এবং এ নিয়ে দুই পক্ষ তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে।

১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের সময় কাশ্মীর বিভক্ত হয়ে দুই দেশের অংশেই পড়ে। কিন্তু দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে রাজ্যটিকে নিয়ে দুই পক্ষ এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে।