প্রকাশিত: 15/11/2020
চলতি রোপা আমন মৌসুমে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা ও মাড়াই। কৃষকরা ফলনও ভালো পেয়েছেন। ফলন ভালো পাওয়ায় ধানের মৌ-মৌ গন্ধে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালী উজ্জ্বল হাসি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ডিমলা উপজেলায় এবছর ১৯ হাজার ৯ শত ১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এতে ৮৯ হাজার ৫ শত ৯৫ মেট্রিকটন আমন ধান উৎপাদন হয়েছে।
এবার প্রথম অবস্থায় পোকা মাকড়ের আক্রমণ থাকলেও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস যথা সময়ে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকের আমন ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছে। ধানের দাম ভালো থাকায় ও আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক মোমতাজ আলী জানান, এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া ধানের খড়ও এখন গরুর খাদ্য হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করতে পারছি তাতেও বেশ লাভবান হচ্ছি আমরা।
ডিমলা উপজেলার উত্তর তিতপাড়া-১ মুন্সিপাড়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, আমরা গুটি সন্ন ধানের আবাদ করেছিলাম। ধান পেকেছে, ধান কাটা শুরু করেছি। ফলনও ভালো পেয়েছি। ধানের দামও বেশ ভালো।
একই এলাকার কৃষক রফিয়ার জানান, আমি মামুন সন্ন ধানের চাষ করেছি। এ ধান আগাম পাকে। ধান পেকেছে। কাটতে শুরু করেছি। এবার ধানের ফলন ভালোই পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী জানান, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় তেমন একটা পোকা-মাকড়ের সংক্রমণ দেখা যায়নি। ফলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কনক চন্দ্র রায় বলেন- চলতি বছরে চাষ সফল করার লক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। এছাড়া, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষকদের মাঝে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে।