প্রকাশিত: 17/11/2020
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের ব্যঙডেবা নামক পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে একটি অসুস্থ হাতি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হাতে টির আনুমানিক বয়স ২০ বছর হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর ২০২০ ইংরেজি তারিখ বনভূমির ওয়াসার
ব্লিজারের সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারার সাথে সাথে পাহাড়ের গহীনে অসুস্থ হাতিটিকে দেখার জন্য ছুটে যান, জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটু। পাহাড়ের গহীনে হাতিটি দেখতে গেলে হাতিটির অবস্থা অবনতি দেখে সে সাথে সাথে তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের
(এসিএফ) সহকারি বন বন রক্ষক সোহেল রানা, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সহকারি ভেটেনারি সার্জন,, ডাক্তার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাক্তার শাহজাদা মোঃ জুলকার নাঈন।১৪ নভেম্বর সারাদিন রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বনপ্রহরী সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে চিকিৎসা সেবা দেন অসুস্থ হাতিটিকে। তবে 15 নভেম্বর অসুস্থ হাতিকে দেখতে আসেন, সাবেক উপ বন
সংরক্ষক ডাক্তার তপন কুমার দে, সুফল উপ-প্রকল্প পরিচালক মদিনুল আহসান, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের (ডিএফও)বন সংরক্ষক তাওহিদুল ইসলাম, সহ কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ, ও জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ ও বিভিন্ন এলাকার পরিবেশবাদী সহ এলাকার শত শত লোকজন। জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে অসুস্থ হাতিটির চিকিৎসা সেবা খরচ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ছড়িয়ে গেছে।
এবং প্রতিটি রাত্রে অসুস্থ হাতিটিকে যেন কোন দুষ্কৃতিকারীকে ক্ষতি করতে না পারে প্রতিটি রাতের পাহারাদার হিসেবে চারজন করে রাখা হয়েছে। বন্যপ্রাণী অসুস্থ হাতিটিকে বাঁচানোর জন্য জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করছে বলে এলাকার শত শত লোক জানিয়েছেন। এবং কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের কর্মকর্তা এ বিষয়ে জোরালোভাবে নজর রাখছে।
তবে বন কর্মকর্তারা বলছেন হাতিটি দূরের অন্য কোন এলাকা হইতে জোয়ারিয়ানালার বনভূমিতে চলে আসছে। অসুস্থ হাতিটির এবং শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে কোন গুলি বা ভারি অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। হাতিটি যখন থেকে জোয়ারিয়ানালা বনভূমিতে দেখা গেছে তখন থেকেই হাতিটিকে বাঁচানোর জন্য, অভিজ্ঞ সরকারি পশু ডাক্তারের মাধ্যমে জরুরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত অসুস্থ হাতিটির অবস্থা উন্নত দেখা যাচ্ছে না, তার পরেও হাতিটির জীবন বাঁচানোর জন্য দিনরাত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছে জেলার উত্তর বন বিভাগের কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে অসুস্থ হাতিটির খোঁজ খবর রাখছেন (সিসিএফ) বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী।