প্রকাশিত: 19/11/2020
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সহদর ভাইয়ের মধ্যে ব্যাপক মারধর ও নগ্ন করে প্রকাশ্যে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাহা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠে।
এব্যাপারে লক্ষ্মীপুর আদালতে দু'পক্ষই পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার সুত্রে জানাযায়,উপজেলার তোরাবগন্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামে চলতি মাসের ১৪ তারিখে মামলার বাদি সফিক উল্যার বসতবাড়ীর পুকুরের ঘাটলার উপর গরুর ঘর দেওয়া কে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়ে।এর জের ধরে দুই ভায়ের মধ্যে দীর্গদিন বিরোধ চলে আসছে।ঘটনার দিন দুই ভায়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাদী অজিউল্লার নেতৃত্বে তার ছেলে হারুন,কামাল, ফয়েজ সহ তার নাতি ও ছেলের বউ সহ ১৩/১৪ জনের একটি দল সফিক উল্যা এবং তার পরিবারের উপর মধ্যযুগী কায়দায় নগ্ন হামলা চালায়। এতে হামলার শিকার হয়ে সফিক উল্লাহ, জসিম,কাশেম মইন উদ্দীন নিজাম উদ্দিন, শাহিনুর, ও কুসুম মারাত্মক আহত হয়ে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মারামারির এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে সফিক উল্যাহ বাদী হয়ে সিআর ২০/২০ নং ১৭/১১/২০২০ ইং তারিখে একটি মামলা করেন।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কমলনগর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়,উপজেলার তোরাবগন্জের চরপাগলা গ্রামের ঘটে যাওয়া ঘটনার সময় সফিক উল্লাহ ও তার পরিবারকে আসামীরা নগ্ন করে রড ও লাঠি সোটা দিয়ে পেটানো হয়। নির্যাতনের মুখে তারা সম্পুর্ন উলংগ হয়ে যায়। পরে অচেতন হয়ে পড়লে স্হানীয়রা তাদের কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে মামলার এক নম্বর আসামী হারুনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল আফসার বলেন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।এখন পর্যন্ত থানায় কোন ধরনের অভিযোগে আসেনি।আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।