প্রকাশিত: 22/11/2020
সরকারের নির্দেশনাকে অমান্য করে অ্যাসাইনমেন্ট বুঝিয়ে দেওয়ার নামে স্কুলেই দিব্যি প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজীহাল ইউনিয়নের মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক একরামুল হক।
গত শনিবার ওই বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দুইটি শ্রেণি কক্ষে গাদাগাদি করে বসে আছে ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থীরা। এক ব্রেঞ্চেই দুই থেকে তিনজন করে গাদাগাদি করে আছে তারা। নেই কারোই মুখে মাস্ক।
নেই সচেতনতার বালাই। অপর একটি কক্ষে গিয়ে দেখা মিলে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন কম্পিউটার শিক্ষক একরামুল হক। তার মুখেও নেই সুরক্ষা মাস্ক। শ্রেণিকক্ষে সাংবাদিকদের দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিনই প্রাইভেট পড়তে আসি।
আমাদেরকে এনামুল স্যার প্রাইভেট পড়ান। স্যারকে আমাদের নাম বলিয়েন না, না হলে পরে আমাদেরকে বকাবকি করবেন। মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক একরামুল হক বলেন, আমি প্রাইভেট পড়াচ্ছি না। ওই সব শিক্ষার্থীরা বোঝে না অ্যাসাইনমেন্ট কী। তাই প্রধান শিক্ষক বলেছেন যারা অ্যাসাইনমেন্ট বোঝে না তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে।
মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব জুয়েলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাজারে আছি এ বিষয়ে পরে কথা বলব বলেই কলটি কেটে দেন। ফুলবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমশের আলী ম-ল বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদি কোন শিক্ষার্থীরা না বুঝে থাকে তবে ভার্চুয়ালে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দিতে পারবে শিক্ষক।
যদি ওই শিক্ষক প্রাইভেট পড়িয়ে থাকে তবে সেটি অপরাধ। বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমি বিষয়টা দেখছি। ফুলাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সরকারের নির্দেশনাকে যদি কেউ অমান্য করে তবে সেটি আইনবহির্ভূত কাজ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। ওই শিক্ষকের প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি আমার জানা ছিল না।আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।