ওআইসির বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রস্তাব, ভারতের নিন্দা

ওআইসির বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রস্তাব, ভারতের নিন্দা

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে ভারতীয় নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

শনিবার ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

এদিকে রবিবার ভারত ওআইসি’র প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাব গ্রহণের কোনো অধিকার অন্য কোনো দেশের নেই।

বিবৃতিতে ওআইসির ৪৭তম সিএফএম অধিবেশনে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের গৃহীত রেজল্যুশনকে ভুল, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক দাবিগুলোকে দৃঢ়ভাবে এবং স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং আমরা সবসময় বলেছি যে ওআইসির কোনও অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই।" ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওআইসির ভারত সম্পর্কে যে বক্তব্য ছিল তা ভুল এবং অবাঞ্ছিত। ফলে, ভারত এই বিবৃতিগুলিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছে।

পরোক্ষভাবে পাকিস্তানে আক্রমণ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যজনক যে সংস্থাটি (ওআইসি) একটি নির্দিষ্ট দেশকে ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। যাদের ধর্মীয় সহনশীলতা, চরমপন্থা এবং সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একটি খারাপ রেকর্ড রয়েছে। ভবিষ্যতে এই জাতীয় প্রস্তাব গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা ওআইসিকে দৃঢ়তার সহিত পরামর্শ দিচ্ছি।

২৮-২৯ নভেম্বর নাইজেরের ৪৮তম ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। করোনা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে ২০১৯ সালে ভারত সরকার কাশ্মীরের ধারা ৩৭০ বাতিল করেছিল। ফলস্বরূপ, কাশ্মীর এত দিন যে বিশেষ অধিকার ভোগ করেছিল তা বাতিল করে দেওয়া হয়। একই সাথে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি হলো লাদাখ এবং অন্যটি জম্মু ও কাশ্মীর।


 

আরও পড়ুন

×