প্রকাশিত: 10/12/2020
আজ ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের মিত্রবাহিনী ভারতীয় সেনা সদস্যদের শহীদ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী খানসেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে একজন ক্যাপ্টেনসহ শহীদন হন পাঁচ ভারতীয় সেনা সদস্য।
দেশ স্বাধীনের পর এইসব বীর শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হলেও ক্রমান্বয়ে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছতে বসেছে সেই সব আত্মত্যাগকারি ভারতীয় সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা। দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকলেও এইবার পরিষ্কারসহ রংকরা হয়েছে ওইসব শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভটি।
প্রবীণ শিক্ষক শিব নারায়ণ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী খানসেনাদেরকে ফুলবাড়ী থেকে বিতারিত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীকে পাক হানাদার মুক্ত করেন। হানাদার মুক্ত ফুলবাড়ীকে শত্রুমুক্ত রাখতে আজকের এইদিনে টহল দেয়ার সময় ফুলবাড়ী-দিনাজপুর সড়কের লোহার বড় ব্রিজের পশ্চিম তীরে খানসেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে জীব গাড়িটি উড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই একজন ক্যাপ্টেনসহ পাঁচ জন ভারতীয়সেনা সদস্য শহীদ হন। পরে তাদেরকে সরকারি কলেজের পূর্ব পার্শ্বে শাখা যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে শেষকৃত্য সম্পন্নসহ সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। প্রথম দিকে স্মৃতি স্তম্ভটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলেও এখন আর কেউই শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় না। ফলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্মৃতি স্তম্ভটি।
বর্তমানে স্মৃতি স্তম্ভটিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নদীর পানি প্রবাহ মাপার জন্য স্কেল হিসেবে ব্যবহৃত করছেন। শুনলাম এবছর নাকি রং করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভটি।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী বলেন, ভারতীয় সেনা সদস্যদের স্মৃম্ভটিকে সংস্কারসহ সংরক্ষণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি স্মৃতিস্তম্ভটিতে শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হবে।