প্রকাশিত: 14/12/2020
নীলফামারীর ডিমলায় জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষের মারপিটে মোছাঃ সাথী বেগম (৩৫) গুরুত্বর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাথী বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০-ডিসেম্বর-২০ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
অভিযোগ সুত্রে ও ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে জানা যায়, উক্ত এলাকার মৃতঃ আজিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ জসিমুদ্দিন (৬০) এর মোছাঃ সাথী বেগম (৩৫) ও মোছাঃ সান্তনা বেগম (৪০) প্রথম পক্ষ স্ত্রীর মেয়ে। সাথীর বয়স যখন চার মাস তখন প্রথম পক্ষ স্ত্রীর সাথে জসিমুদ্দিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন থেকে দুই বোন মিলে লালন-পালন ও বড় হয় মানুষের বাড়িতে।
পরবর্তিতে মোছাঃ জয়মন বেগমকে জসিমুদ্দিন দ্বিতীয় বিবাহ করেন। জয়মন বেগম জন্ম দেয় একটি ছেলে সন্তানের নাম তার জাকিরুল ইসলাম বর্তমান বয়স তার ২২ বছর।
সাথী বেগম অভিযোগে দাবী করেন, জসিমুদ্দিনের ওরষজাত সন্তান হওয়ার পরেও সেই শিশুকাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত আমার ও আমার বড় বোনের কোন প্রকার দেখভাল করে নাই এবং সার্বক্ষণিক অবহেলা চোখে দেখে আসছিলো।
অভিযোগে আরো জানা যায়, সাথী বেগম ও সান্তনা বেগম জসিমুদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান হওয়া সত্বেও পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ দিতে হবে মর্মে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানকে জমি-জমার দলিল করে দেয়ার পায়তারা করছে এমন খবর গোপন সংবাদের মাধ্যমে যেনে বাবা জসিমুদ্দিনের সাথে কথা-বার্তা বলতে আসে দুবোন। এমতাবস্থায় কথা-বার্তা বলার জন্য বাবা জসিমুদ্দিনের বাড়িতে আসলে ক্ষিপ্ত হয় দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান।
দীর্ঘদিন পর বাবার সাথে কথা বলতে আসা দেখে এবং জমি-জমার ভাগ-বাটোয়ারা করার কথাভেবে দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে মোঃ জাকিরুল ইসলাম (সম্পর্কে সৎভাই), মোঃ জসিমুদ্দিন (সম্পর্কে বাবা), মোছাঃ জয়মন বেগম (সম্পর্কে সৎমা) সান্তনা বেগমের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সান্তনা বেগমকে লাঠি দিয়ে পেটায়।
এ ঘটনা দেখে তার ছোট বোন সাথী বেগম এগিয়ে আসলে তারা তাকেও লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে সাথী বেগম গুরুতর আহত হলে ছেলে শাকিল আহম্মেদ, বড় বোন সান্তনা বেগম ও সান্তনা বেগমের স্বামী লেবু ইসলাম খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত উদ্ধার করে।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন সাথী বেগমকে। ভর্তির সময় বিকাল ৩ টা, রেজি নং-১২৬২/৫, বেড নং ১৪ সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ১১-ডিসেম্বর-২০ সাথী বেগম তার ছেলে শাকিল আহম্মেদকে সঙ্গে নিয়ে ডিমলা থানায় ঘটনাটির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।