প্রকাশিত: 15/12/2020
পৌরসভা নির্বাচন আচরণ বিধিমালাকে অমান্য করে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনী বক্তব্যে দেদারসে চলছে রাজনৈতিক, দলীয় মনোনিত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ব্যক্তি বিশেষকে কটাক্ষ করে উষ্কানিমূলক বক্তব্য, বিবৃতি প্রদানসহ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ।
মেয়র পদপ্রার্থীদের জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও হেয় করে মেয়র পদপ্রার্থীদের এমন বক্তব্য অশোভনীয় আচরণ মনে করছেন সুশীল সমাজ। নির্বাচনী সভায় কাউন্সিলরা আচরণ বিধিমানা মানলেও মানছেন না মেয়র পদপ্রার্থীরা। নির্বাচনী বক্তব্যে চলছে রাজনৈতিক, দলীয় মনোনিত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ব্যক্তি বিশেষকে কটাক্ষ করে উষ্কানিমূলক বক্তব্য, বিবৃতি প্রদানসহ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ।
জানা যায়, ফুলবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব মো. খাজা মঈন উদ্দিন (নৌকা), বিএনপি মনোনিত প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন সাহাজুল (ধানের শীষ), বর্তমান মেয়র এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরতুজা সরকার মানিক (জগ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. মাহমুদ আলম লিটন (নারিকেল গাছ) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। একইভাবে পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী নারীর মাঝেও নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চারজন মেয়র পদপ্রার্থীসহ ৩৯ জন কাউন্সিলরা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে জোরালোভাবে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কামনাসহ দিচ্ছেন নানা প্রকার প্রতিশ্রæতি। আর সেই প্রতিশ্রুতিকে তুচ্ছ্যতাচ্ছিল্য হেয় করে চলছে মেয়র পদপ্রার্থীদের একে অপরকে কটাক্ষ করে নির্বাচনী বক্তব্য।
মেয়র পদপ্রার্থীদের এ ধরণের বক্তব্য ও অপপ্রচারকে অশোভনীয় এবং বিধিমালা অমাণ্য করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ দেখে দিয়েছে সুশীল সমাজের মধ্যে। ফুলবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, এধরণের ঘটনা আমাদের কানে এসেছে। গতকাল সোমবার থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয়েছে।
তারা সার্বক্ষণিক তদারকি চালাবেন এবং আচরণ বিধিমালা অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আচরণ বিধিমালা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ছোটখাটো অভিযোগ আসছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র থানা পুলিশ নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গতকাল সোমবার থেকে মাঠে নেমেছেন। তারা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবেন। যদি কেনো প্রার্থী পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালা অমান্য করে তবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।