প্রকাশিত: 17/12/2020
লক্ষ্মীপুরের কুশাখালীতে নিরিহ পরিবারের ভিটে-মাটি সহ কমপক্ষে ৩ একর সম্পত্তি দখলে নিতে ১৯ টি মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ১৮ নম্বর কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে।
এদিকে চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মানিক তার সহোধর ভাই মুক্তার উদ্দিন মানিক,জামাল উদ্দিন বিপু,মুহিবুল্লাহ মিলে ষড়যন্ত্রমুলক এ মিথ্যা মামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা যায়, ঘোরারবাগ ২১৯ নম্বর মৌজার ৮ নম্বর খতিয়ানমূলে ১৯২ নম্বর.দাগে.৩ একর জমির মালিক স্থানীয় কালা মিয়া মুন্সী।
বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মানিকের বাড়ির পার্শ্ববর্তি কালামিয়া মুন্সী ও তার পরিবারের বসবাস।
চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন তার ক্ষমতার দাপট ও হীনস্বার্থ হাসিল করতে নিরিহ কালামুন্সির কন্যা মরিয়মকে বিভিন্ন ভয়ভিতি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘ অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কের জেরে মরিয়ম অন্ত:স্বত্তা হলে পরে গোপনে বিয়ে করে নেয় চরিত্রহীন চেয়ারম্যান লম্পট সালাউদ্দিন মানিক।
বিয়ে পরবর্তি দীর্ঘ সময় ধরে মরিয়মকে তালাক দেয়ার মানসে অযথা অভিযোগে তার উপর অত্যাচার নির্যাতণ চালাতে থাকে সালাউদ্দিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে একাধিক লোকজন জানায়, কালা মিয়া মুন্সীর জমি দখলে নিতে কৌশলে ওই পরিবারের মেয়েকে পটিয়ে বিয়ে করে চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মানিক।
চেয়ারম্যান মানিকের ললুপ দৃষ্টির অন্তরালে সম্পত্তি দখলে নেয়ার নেশায় নিরিহ পরিবারটির বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া অর্থের দাপটে ওই পরিবারকে প্রকাশ্য খুন করারও হুমকি দিয়ে আসছে।
চেয়ারম্যান মানিকের এক সময়ের ঘনিষ্ট এক সহোচর বলেন, শুধু সম্পত্তি নয়, নারী কেলেঙ্কারী সহ টাস-জুয়া ও মরণ নেশা ইয়াবা কারবার করা এবং ইয়াবা সেবন করা তার নেশা ও পেশা।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারটি মিথ্যা মামলা থেকে নিস্কৃতি পেতে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নালিশী অভিযোগ করেও কোন সুফল ভোগ করতে পারেনি বলেও জানান।
বিশ্লেষক মহলের মতে, চরিত্রহীন পরসম্পদ হরণকারী ও মাদকাসক্ত মানিকের সকল কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমুলক সাস্তি নিশ্চিত এখন সময়ের দাবী।