লক্ষীপুরে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২শ ফুট ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত: 22/12/2020

আব্দল মালেক নিরব

লক্ষীপুরে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২শ ফুট ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

লক্ষীপুরে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২শ ফুট ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুবিধা পাবে কয়েক লাখ মানুষ

 

লক্ষীপুর পৌর শহরের তেরবেকি এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৮৭ ফুটের একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে লক্ষীপুর-মজুচৌধুরীরহাট নৌ-বন্দর হয়ে ভোলা-বরিশালের সাথে কয়েক লক্ষ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল নাম ফলক উন্মোচন করে এ কাজের উদ্বোধন করেন।

ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে লক্ষীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেরবেকি বাজারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। লক্ষীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্তের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল হুদা বকুলের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর পৌর আওয়ামী লীগের ইসমাইল হোসেন, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ, পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল, আবুল খায়ের স্বপন, শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী টিটু, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল প্রমুখ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রহমতখালী খালের ওপর লক্ষীপুর পৌরসভার তেরবেকি বাজার বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় ৬ মাস আগে তেরবেকি বাজার ব্রিজ নির্মাণ কাজের টেন্ডার ঘোষণা করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৮৭ ফুটের ব্রিজটির কাজ পান। ব্রিজটি ১০.২৫ মিটার চওড়া হবে। আগামি ১৮ মাসের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

লক্ষীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, প্রায় ৬ মাস আগে বরাদ্দ অনুযায়ী তিনটি ব্রিজের টেন্ডার ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে একটি তেরবেকি বাজার ব্রিজ। আগামি ১৮ মাসের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ করে ব্রিজটি চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেবে।

প্রসঙ্গত, প্রায় ১০ বছর ধরে তেরবেকি বেইলি ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ। প্রায়ই স্টিলের নতুন সীট লাগিয়ে এটি সংস্কার করা হতো। কিন্তু সীটগুলোতে মরিচা ধরে গর্ত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে জনসাধারণ। যানবাহনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রাতে দোয়া দুরুদ পড়ে পার হতে হতো ব্রিজটি। প্রায় ৩ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় সওজ কর্তৃপক্ষ। এখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণে প্রাণের দাবি ছিলো এলাকাবাসীর। ব্রিজটি দিয়ে লক্ষীপুরের সঙ্গে মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাটের সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটটি মেঘনা নদী হয়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ ২১ টি জেলার সহজ নৌ যোগাযোগ মাধ্যম। জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রায় ১৮৭ ফুট লম্বা ও প্রায় ৩৩ ফুট চওড়া ব্রিজটি নির্মাণে বরাদ্দ দেয় সরকার।

 

 

আরও পড়ুন

×