প্রকাশিত: 26/12/2020
পুরো বিশ্ব ২০২০ সালে করোনায় বিধ্বস্ত ছিল। পাশাপাশি এ বছর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মোট ৫১ টি ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি না হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটি একটি বড় ধাক্কার ইঙ্গিত বহন করে।
আইআইটি ধানবাদের সিসমোলজি বিভাগের প্রধান পিকে খান মনে করেন, বিগত ভূমিকম্পগুলো বিপর্যয়ের লক্ষণ ইঙ্গিত দেয়। অর্থাৎ অনুমান করা যায় সামনে বড় ভূমিকম্প হতে পারে। গত বছর দিল্লি এনসিআরে ৪ থেকে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। স্ট্রেন এনার্জি এখানে বাড়ছে। ৪ থেকে ৪.৯ পরিমাপের ৮৪টি ভূমিকম্প হয়েছিল এবং ৫টির উপরে ৮টি কম্পন হয়েছে।
দেরাদুনের হিমালয়ান ভূতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডঃ কে সেন বলেছেন, দিল্লী-এনসি-র ভারতীয় আটলাসের কেন্দ্রস্থলে ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে এর তীব্রতা সম্পর্কে অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে এই ধাক্কা বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
দিল্লির এই পরিস্থিতির তিনটি কারণ থাকতে পারে-
১. এটি ঘটবে তবে কোনও বড় ক্ষতি হবে না।
২. এই ছোট্ট কম্পনের শেষে বড় ধরনের ভূমিকম্প হবে। তবে এটি সাধারণত পাঁচ থেকে সাতটি আঘাতের পরে প্রবাহিত হয়।
৩. দিল্লির এই ছোট ছোট কম্পনগুলো অন্য কোন জায়গার জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত হতে পারে।
দিল্লি সিসমিক জোনে অবস্থান ৪, তাই ভূমিকম্পের প্রবল আশঙ্কা থেকেই যায়। আবার, দিল্লির ৩০ শতাংশ জোন ৫-এর নিচে।
তাই এসব মহা বিপদ থেকে দিল্লিকে বাঁচাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি বিল্ডিং নির্মাণের সময় এটি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, এঅঞ্চলটি ঝুঁকির অন্যতম কারণ সর্বাধিক ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হিমালয় থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লির অবস্থান। সূত্র: নিউজ ১৮