ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী বৌমেলা ক্রেতা শুধুই নারী

ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী বৌমেলা ক্রেতা শুধুই নারী

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুরে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে গত সোমবার বিকেলে বসেছিল ৬০বছরের ঐতিহ্যবাহী বৌমেলা। মেলায় ক্রেতা শুধুই নারীরাই।
ঐতিহ্যবাহী সুজাপুর সর্বজনীন দুর্গা মন্দির চত্বরে শিশু আর নারীদের জন্য আয়োজিত এই মেলা চত্বরের আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুরুষ ভীড় জমালেও তাদের মেলায় প্রবেশের কোন অনুমতি ছিলো না। বিক্রেতার মধ্যে পুরুষ থাকলেও শিশু ও নারী ক্রেতাদের নিয়ে জমে উঠেছিল দিন্যাপী ঐতিহ্যবাহী এই বৌমেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই ত্রিপল ও সামিয়ানা টানিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিল দোকানীরা। মেয়েদের প্রসাধনী সামগ্রীই মেলার প্রধান উপজিব্য হলেও একই সঙ্গে স্থান পায় ছোটদের খেলনা সামগ্রী আর গৃহস্থালীর নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ রকমারী মুখরোচক খাবার। বিকাল গরিয়ে এলে সেখানে ভীড় জমাতে শুরু করেন বিভিন্ন বয়সী নারী ও শিশুরা।
বৌমেলায় কেনাকাটা করতে আসা রাহেলা পারভীন, মানতি বর্মন, ¯িœগ্ধা ও সুমিত্রা রানীসহ স্থানীয় নারীরা বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে প্রতিবছরই বৌমেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় শুধুমাত্র নারীরাই ক্রেতা, আবার অনেক দোকানে নারীরাই বিক্রেতা হওয়ায় নির্বিঘেœ ঘুরে বেড়ানোসহ কেনাকাটা করা যাচ্ছে। এ যেন অন্যরকম আনন্দ। 
দোকানীরা জানান, মেলায় মহিলারাই ক্রেতা যেহেতু, তাই প্রসাধনী সামগ্রীই বিক্রি হয় বেশি। মহিলাদের প্রসাধনীর পাশাপাশি শিশুদের খেলনার বিক্রিও ভালো বলে জানান তারা।
মেলার আয়োজক সুজাপুর সর্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশেষ রঞ্জন দাস, সহ-সভাপতি স্বপন সরকার, সাধারণ সম্পাদক গৌ চন্দ্র সরকার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন সরকার বলেন, শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে দীর্ঘ ৬০ বছর থেকে আয়োজন করা হচ্ছে বৌমেলার। মেলাটি জমিদার ভীমল বাবুর সময় থেকে শুরু হয়। তিনি লক্ষ্মী পূজার পর দিন এক মেলার আয়োজন করেছিলেন তখন থেকে আজও মেলাটি চলমান রয়েছে। মেলাটি শুধুমাত্র নারীদের জন্যই। তাই মেলায় পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। মেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সদস্যদের পাশাপাশি মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবক টিম সার্বিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। সকলের প্রচেষ্টায় সুষ্ঠ ও আনন্দমূখোর পরিবেশে মেলাটি সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত রবিবার শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। 
 

আরও পড়ুন

×