ফুলবাড়ীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো সুমাইয়ার বাল্যবিয়ে

ফুলবাড়ীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো সুমাইয়ার বাল্যবিয়ে

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের শিকারের হাত থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (১৭)।

সুমাইয়া আক্তার উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের দিনমজুর ছাবেদ আলীর মেয়ে এবং আলাদীপুর উত্তর রঘুনাথপুর দ্বি-মূখী ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির (নতুন) শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গত ১৫ দিন পূর্বে পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার হায়াতপুর গ্রামের খাবির হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলামের (২৩) সাথে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে সম্পন্ন করান কাজী মো. আব্দুল ওহাব। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল। সে মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ হাজির হয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করা হয়।

পরে সুমাইয়ার জন্ম নিবন্ধন মিলিয়ে ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় বিদায় অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয় এবং যতদিন না ১৮ বছর পুরণ হয়েছে ততদিন বিদায় না দিতে বলা হয়। ফুলবাড়ী থানার এসআই দেবী কান্ত রায় বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি ওয়ার্ড সদস্যের হেফাজতে কন্যার ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিদায় না দিতে বলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বিবাহের শিকার সুমাইয়ার ১৮ বছর পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিদায় না দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×