প্রকাশিত: 03/01/2021
ঝিনাইদহে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিউশন ফিস ছাড়াও, ক্রীড়া, উন্নয়ন, গ্রন্থগার ফিসসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নিরুপায় হয়ে এসব অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। সরোজমিনে শনিবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজে যেয়ে দেখা বিদ্যালয়ে ২০২১শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম চলছে। এসময় ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীর বেতন বইয়ে দেখা গিয়েছে ভর্তি ও এক মাসের বেতনের টাকা ছাড়াও ক্রীড়া, উন্নয়ন, গ্রন্থগার, শিক্ষক কল্যাণ ফিস সহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৬৪০ থেকে ৮৯০ টাকা পর্যন্ত আদায় হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, বেতন ও ভর্তি ছাড়া টাকা নেওয়ার কথা না। অথচ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে আমাদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। অথচ অভিভাবকদের আপত্তির মুখে সদ্য বিদায়ী বছরের ১৮নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী উভয়ের কথা বিবেচনা করে শুধু মাত্র টিউশন ফি গ্রহণ করার কথা বলা হয়। এর বাইরে যদি কোন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ফি দেখিয়ে অর্থ নিয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে সমন্বয় করিতে হইবে। না হলে ফেরত দিতে হবে। যদি করোনা মহামারি ২০২১সালে স্বাভাবিক না হয় একই নিয়ম বহাল থাকিবে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ'র অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখি, নিয়মে না থাকলে ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তসলিমা খাতুন বলেন, টিউশন ফি ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কোন অর্থ নিতে পারবে না।