প্রকাশিত: 04/01/2021
ভয়ংকর শব্দ দুষনের কবলে পড়েছে ঝিনাইদহ। নূন্যতম মাইকিং ন্যুইসেন্স আইন মানা হয় না। সকাল, সন্ধ্যা গভীর রাতে মাইকের শব্দে মানুষের কান ঝালাফালা হয়ে পড়ে। অতিষ্ঠ হয় জনজীবন। এদিকে শব্দ দূষন রোধে ঝিনাইদহ শহরে যত্রতত্র মাইকিং বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ঝিনাইদহ যুব ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুব ফেডারেশনের আহবায়ক এস এম রবি। উপস্থিত ছিলেন অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার হাফিজ ফারুক, এ্যাড. লিয়াকত আলী, পুজা উদযাপন পরিষদের এ্যাড. কানন কুমার দাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একরামুল হক লিকু, রাজু আহমেদ মিজান, বিএম আনোয়ার হুসাইন ও এস ঘরানা ইন্সটিটিউটের পরিচালক শাহানাজ পারভিন সেতু।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ঝিনাইদহ শহরের শব্দদূষন সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। ফুল ভলিয়ম সাইন্ডে মাছ, মাংস, কোচিং সেন্টারে ভর্তি, প্রাইভেট হাসাপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের প্রচার, এনার্জি বাল্ব এবং ইদুর মারার ঔষধ বিক্রি, পাড়া মহল্লায় পিকনিকের নামে রাতভর গানবাজনাসহ নানা অজুহাতে প্রচার মাংকিং অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও যানবাহনের হর্ন, রাতে ইটভাঙ্গার শব্দ, সিমেন্ট মিকসারের শব্দ গ্রীলের দোকানের হাতুড়ি পেটানো, জেনারেটরের শব্দ ও দোকানে উচ্চ আওয়াজে গান বাজানো শব্দসহ নসিমন করিমনের ভটভটির শব্দে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে শহরবাসী। অতিমাত্রায় শব্দ দূষনের ফলে মানুষের শ্রুতিশক্তি হারিয়ে ফেলছে।
শব্দদূষনের ফলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিশু, গর্ভবতি মা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষনের ফলে শ্রবনশক্তি লোপ, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, অনিদ্রা, হৃদযন্তের সমস্যাসহ নানা রকম মানষিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
পরিবেশ অদিদপ্তরের এক জরিপের উদ্বৃতি দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয় মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের শ্রবনশক্তি হ্রাস পেয়েছে। শব্দ দুষন থেকে পরিত্রাণ পেতে যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।