প্রকাশিত: 11/01/2021
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা আদিবাসী উন্নয়ন সমিতির নির্বাচিত কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং সাঁওতালসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার বিক্ষোভ-মানবন্ধন কর্মসূচি ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা আদিবাসী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে বেলা সাড়ে ১১টায় সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে পৌরশহরে ঢাক-ঢোল নিয়ে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালিন বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি চুন্নু টুডু, সদস্য রামেশ টুডু, বাবলু টুডু, বিমল হাঁসদা, ফুলবাড়ী আদিবাসী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাজেন মার্ডি প্রমুখ। এতে প্রায় তিন শতাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা ঢাক-ঢোল ও তীরধনুক নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আদিবাসী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি চুন্নু টুডু। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গঠনতন্ত্র মোতাবেক সমিতির সাধারণ সদস্যর উপস্থিতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে কার্যকরি কমিটি গত ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি করা হয়। সেটি কমিটি পাঁচ বছরের জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে অনুমোদন করা হয়।
যে সমস্ত ব্যক্তি সমিতির বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন তারা এই সমিতির সদস্য না। অসৎ উদ্দেশ্যে তারা সমিতির কমিটি বিষয়ে অভিযোগ করেছেন যা ভিত্তিহীন ও অসত্য। তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যা, ইউএনও এবং সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন এবং আইনানুযায়ী তাদের পক্ষে রায় না হওয়ায় তারা
আবারো অভিযোগ দাখিল করেন। তারা আমাদেরকে হয়রানী করার জন্য বারবার মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গেজেটে খ্রীষ্টান নেই যার কারণে আমি খ্রীষ্টানদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে সুপারিশ করতে পারি না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তালিকায় আদিবাসীদের নাম নেই, আছে সাঁওতালসহ ৫০ জনগোষ্ঠীর নাম। আমাদের সমাজে যারা খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তারা পুররায় সাঁওতাল হিসেবে দাবি করতে পারবে না।
দাবি করলে জাতির সাথে বেইমানি হবে। মূল অভিযোগকারীরা স্বীকার করেছেন, তারা খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং সে অনুয়ায়ী তারা বড়দিনে সরকারের বরাদ্দ গ্রহণ করেন এবং খ্রীষ্টান ট্রাস্ট থেকেও সহায়তা পান। এদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই বিশেষ বরাদ্দ পান। যা ওই কুচক্রী মহলের মাধ্যমেই বণ্টন করা হয়। ফলে সেখানেও ওই কুচক্রী মহল সুবিধা গ্রহণ করেন।