কমলনগরে গভীর রাতে চলছে মেঘনা তীরের মাটি কাটা 

প্রকাশিত: 16/01/2021

কমলনগর প্রতিনিধিঃ

কমলনগরে গভীর রাতে চলছে মেঘনা তীরের মাটি কাটা 

কমলনগরে গভীর রাতে চলছে মেঘনা তীরের মাটি কাটা। এর আগে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাটি কাটা হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বাধার মুখে কিছুটা বন্ধ হয়ে যায়।  

এখন অভিনব কায়দায় রাত এগারোটার পর থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত চলছে মাটি কাটা। মাটি পরিবহন করা ২০/২৫টি ট্রাক্টর টলির বিকট আওয়াজে স্থানীয়রা ঘুমাতে পারছেন না এমন অভিযোগ তাদের।বৃহস্পতিবার (১৪ )জানুয়ারি রাতে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটার মালিকের নির্দেশে শ্রমিকরা নদীর তীরের ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলি বোঝাই করে নিয়ে নিচ্ছে। 

 এভাবেই গত কয়েকদিন থেকে অব্যাহতভাবে চলছে এ মাটি কাটা।স্থানীয় চৌধুরী বাজারের ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন ও নুর হোসেন বলেন, আগে দিনের বেলা ট্রাক্টর দিয়ে বাজারের উপর দিয়ে মাটি নেয়া হতো। এখন সারারাত ধরে নেয়া হয়। ট্রাক্টরের আওয়াজে রাস্তার দুই পাশের ঘরবাড়ির মানুষ ঘুমাতে পারেনা।  দাবড়িয়ে চলা ট্রাক্টর গাড়ির চাকার প্রেসারে ভূমিকম্পের মতো ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। তাছাড়া ফাঁড়ি থানার ১০০মিটার সামনে দিয়ে দিনের পর দিন মাটি পরিবহন চলছে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। তারা অনতিবিলম্বে মাটি কাটা বন্ধ সহ ট্রাক্টরের অশান্তি থেকে স্থানীয়দের বাঁচাতে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ। 

জানান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চকবাজার নিকটবর্তী মেসার্স আল হেরা ইটভাটার মালিক (হেলাল কোম্পানি) নদীতে জমি ভেঙে নিয়ে যাবে দালালদের মাধ্যমে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে, নদী পাড়ের প্রায় পঞ্চাশ একর ফসলি জমির মাটি নামেমাত্র টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে, অর্ধেকেরও বেশি ইতোমধ্যে কেটে নিয়েছে।তারা আরো জানান, নদীর তীর রক্ষা বাঁধের মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তর পাশ থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। 

যে কারণে শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মেসার্স আল হেরা ইটভাটার মালিক মো. হেলাল উদ্দিনকে একাধিক ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।কমলনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বলেন, সরকার ভাঙন ঠেকাতে নদী তীরবর্তী মানুষের ভিটে মাটি রক্ষায় বাধ নির্মাণ করছে।

অথচ ভূমিখেকোরা নদীর পাড় কেটে নদীকে ভাঙনের মুখে ফেলছে। এটা গুরুতর অন্যায়, নদীর তীর থেকে মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আরও পড়ুন

×