প্রকাশিত: 24/01/2021
কক্সবাজার রামুর রশিদনগরে ৩ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বত্তরা। তবে অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম সরাসরি নেতৃত্বে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় রশিদনগর মামুনমিয়ার বাজারস্থলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন- রশিদ নগর ইউনিয়ন ছাএলীগের সভাপতি নজিবুল আলম নজিব (২৫), সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং রশিদ নগর সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মিজানুল করিমের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহ আলমের নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব ছিলেন আজকের হামলায় আক্রান্ত ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা। এরই সূত্র ধরে চেয়ারম্যানের ও তার লোকজন সদলবলে আজ সন্ধ্যায় এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। তারা আরও জানান- কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই চেয়ারম্যানের লোকজন ছাত্রলীগ নেতা নজিব, সাইফুল ও মিজানুল করিমের উপর উপর্যুপরি এলো পাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং গুলি বর্ষন করে।
আহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানা যায়- শনিবার (২৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় মামুনমিয়ার বাজারে শাহ আলম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার আপন ভাই লাল মিয়া, কালা মিয়া, শফি আলম এবং চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম নুনু, আলমগীর, ফয়সাল, ১২টি মামলার আসামী ডাকাত রমজান, ডাকাত কাশেম এবং তার ছেলে বাবু সরাসরি এই হামলা চালায়।
এব্যাপারে রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম সিডব্লিউকে জানান- ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নিজ দল সমর্থিত লোকজনের মাঝে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। তবে এই ঘটনার সাথে তিনি কোনো ভাবেই জড়িত নন বলে দাবী করেন। হামলাকারী কারা ছিলো জানতে চাইলে- তিনি এখনও কিছুই পরিস্কার করে বলতে পারছেন না; তবে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানাকে নিজের সংশ্লিষ্ট না থাকার বিষয়টিও অবগত করে রেখেছেন বলে জানান।
এদিকে ঘটনার সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম. আজমিরুজ্জামান সিডব্লিউকে জানান- সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম, স্থানীয় সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে যা জানা যাচ্ছে আপাত দৃষ্টিতে সেটাই সঠিক বলে মনে হচ্ছে। তবে এখনও আক্রান্তরা অভিযোগ করেনি। তারা অভিযোগ করলে বিষয়টি আরও পরিস্কার হবে।